আর্কাইভ  শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ● ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নাশকতার আগে এক লাখ সিম যুক্ত হয় ঢাকার নেটওয়ার্কে       রংপুরে ১২ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫       আহতরা যেই দলেরই হোক, চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী       ২৭শে জুলাই রংপুর বিভাগের আট জেলায় কারফিউ শিথিল       সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের      

 width=
 

দক্ষ জনশক্তি নিয়ে স্মার্ট রেল বিভাগ এগিয়ে যাবে- সৈয়দপুরে রেলমন্ত্রী

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বিকাল ০৬:১৩

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ দেশের বৃহত্তম নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ২৯টি শপ (উপ-কারখানা) ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের সাথে কথা বলেছেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি। 
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কারখানা পরিদর্শন করেন তিনি। বর্তমান সরকারের রেলপথ মন্ত্রী হিসেবে এটিই প্রথম রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন। 
পরিদর্শন শেষে রেলপথ মন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ২৮৫৯ জনবলের বিপরীতে বর্তমানে ৮৬০ জন কর্মরত রয়েছেন। ২৮শ জনের কাজ তো ৮শ জন করতে পারে না। একটা কারখানা সম্পন্নভাবে সচল রাখা সম্ভব না। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের যে যন্ত্রপাতি আছে আরও কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে লোকবল নিয়োগ দিয়ে দক্ষের সাথে প্রশিক্ষণ দিয়ে রেলকে উন্নতির পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। এটা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চান। 
মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, আমি ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি উনি অতিদ্রুত লোকবল নিয়োগের ব্যাপারে বলেছেন এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি সমস্যাগুলো সমাধানের। একদিনে তো সম্ভব হবে না। এই রেলওয়ে কারখানাকে স্মার্ট করতে চাইলে আমাদেরকে স্মার্ট হতে হবে। আধুনিক কারখানা করতে গেলে সেই ধরনের মেশিন আমদানি করতে হবে। সেটা চালানোর লোক লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি আপনারা সহযোগিতা করবেন। 
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে রেল অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা সেই তাল মিলিয়ে এগিয়ে পারছি না। আমাদের দক্ষ জনশক্তির অভাব আর সবচেয়ে বড় কথা আমাদের আন্তরিকতার অভাব। বিএনপির সময় গোল্ডেন হ্যান্ডশেক করে আমাদের দক্ষ জনশক্তিকে বসায় দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটা কারখানার যা ক্যাপাসিটি আছে বিএনপি সেসময় অনেক কিছুই করতে পারতো কিন্তু তারা তা করেনি। ফলে আমাদের লোকবলের অভাব সৃষ্টি হয়েছে। 
রেলপথমন্ত্রী আরো বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে সেতু কারখানায় অতীতে রেলসেতুর গার্ডার তৈরি হতো। এছাড়াও পাহাড়তলীতে হতো। এখন অল্প কিছু হয় বাকিটা আমদানী করতে হয় এই দক্ষ জনশক্তির অভাবে। আমরা চাচ্ছি রেলকে স্বাবলম্বী করার জন্য। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে রেলকে স্বাবলম্বী প্রতিষ্টান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আর আমাদের মানুষগুলোকে ভালো হতে হবে। মানুষ ভালো না হলে চেষ্টা করেও কিছু করা যায় না। প্রত্যেক জায়গা থেকে চুরিচামারী বন্ধ করতে হবে। চুরিচামারী যারা করে তাদেরকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, যারা রেলের জমি দখল করে আছেন তারা জানেন আমরা যে কাজটা করতেছি এটা অন্যায়। তাদের বিবেকের দংশনে তাদের দংশিত হওয়া উচিত। একটা অন্যায় জিনিস আমরা করতে যাচ্ছি। দখল করে মসজিদ বানালে সে মসজিদে নামাজ হয়না কিন্তু রেলের জমি দখল করে যে বসবাস করে সে কি খুব শান্তিতে বসবাস করতেছে আমার মনে হয়না। একধরনের দুর্বৃত্ত আছে তারা এ কাজ করতেছে। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের রেলের জন্য যতটুকু প্রয়োজন এগুলা আমরা উচ্ছেদ করবো। এগুলো সহ্য করা হবে না। এছাড়াও এক জমি তিনজনকে লিজ দেওয়া তারপর রেলের অনেক জমি বেহাত হয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা ভুয়া কাগজ তৈরী করে রেকর্ড করে নিছে। এগুলা আমরা ইতিমধ্যে তালিকা করে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছি।
এর আগে মন্ত্রী রেলওয়ে কারখানায় এসে পৌঁছলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর। 
এরপর মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে কারখানায় স্থাপিত অদম্য স্বাধীনতায় শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।  
পরিদর্শনের সময় নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল হাসান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই,পশ্চিম) মুহম্মদ কুদরত-ই খুদা, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেলওয়ে শ্রমিকলীগ নেতা মোখছেদুল মোমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন

মন্তব্য করুন


 

Link copied