আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

দেশে ফিরতে চান গরম পানি ছিটানোর পরামর্শদাতা অরুণা বিশ্বাস

শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫, রাত ০৮:৪৩

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: ঢালিউড অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস অভিনয়ের পাশাপাশি নানা অনুষ্ঠানেও নিয়মিত ছিলেন। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীপন্থি হিসাবে ‘আলো আসবেই’ নামে একটি সংগঠন করে ছাত্রদের বিপক্ষে রাজপথে দাঁড়ান। ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢালার পরামর্শ দেন অভিনেত্রী। কিন্তু এখন তিনি দেশে ফিরতে চান। 

শেখ হাসিনার পতনের পর একরকম গা দেন অরুণা বিশ্বাস। গোপনে পালিয়ে যান কানাডায়। এখন পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছেন এ অভিনেত্রী। 

সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্ট জন্ম দিয়েছে তার স্বাভাবিক জীবনে ফেরার। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীপন্থি শিল্পী কলাকুশলীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অরুণা বিশ্বাস। সেই সময় ছাত্রদের দমাতে ‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যেখানে যুক্ত ছিলেন অরুণা বিশ্বাস। আর সেখানে তার পরামর্শ ছিল— ছাত্রদের ওপর গরম পানি ছিটানোর। এসব কথার স্ক্রিনশট ভাইরাল হলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন অভিনেত্রী।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্টে অরুণা বিশ্বাস লিখেছেন—‘অপ্রত্যাশিত ভালোবাসায় ভেসে যাই 

মাঝে মাঝেই। আজ মুভি দেখা শেষ করে মেট্রোতে বাসায় ফিরছিলাম, সঙ্গে আমার এক আত্মীয় ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা চুটিয়ে গল্প করছিলাম। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ দুটি মেয়ে আমাকে ইংরেজিতে অনেক প্রশ্ন করছিল। ট্রেনের শব্দ, মানুষের  হাসাহাসি— সব মিলিয়ে আমরা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। বাচ্চা মেয়ে দুটো আসলে বাঙালি এটা ভাবিনি  বা মনে হয়নি।

অভিনেত্রী বলেন, ‘ইংরেজিতে বলছিল— আমরা তোমাকে চিনি, তুমি বাংলাদেশের সেলিব্রেটি, তোমার মুভি দেখেছি অনেক। যখন ছোটবেলায় মা দুপুরে আমাদের রেস্ট নিতে পাঠিয়ে বাংলাদেশের মুভি দেখত, আমিও লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম। আপনাকে এখানে দেখেই কেমন যেন চেনা চেনা লাগছিল। আমরা দুই বেষ্ট ফ্রেন্ড গুগলে আপনাকে মিলিয়ে আমরা আনন্দে আত্মহারা। আপনি এখনো এত প্রীতি কীভাবে? 

তিনি বলেন, আসলে এমন অনেক অভিজ্ঞতা হয়তো কমবেশি সব সেলিব্রেটিদেরই হয়। আমারও অনেকবার হয়েছে। আজকে ওরা যেভাবে চিৎকার করছিল। মেট্রোর সবাই দেখছিল, ছবি তোলা আর সবাই অবাক হয়ে তাকাচ্ছিল।

অরুণা বিশ্বাস বলেন, আমার কত যে আনন্দ হচ্ছিল। নিজেকে সম্মানিত মনে হচ্ছিল। আর মনে হলো—আবার ফিরতে হবে আমার জায়গায়, যে জায়গা একান্তই আমার। মানুষের ভালোবাসা, আর ভালোবাসা। আমার ছোট ছোট পাওয়া অনেক পাওয়ার মতো।

উল্লেখ্য, অরুণা বিশ্বাস অনেক আগেই কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সেখানে শুধু তিনি একাই নন, তার মা, ছেলে, ভাই ও তার পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। কানাডা থাকলেও দেশ এবং দেশের বিনোদন জগতের খোঁজখবর নিয়মিত রাখেন তিনি।

মন্তব্য করুন


Link copied