স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর পৃথক স্থান হতে চারটি পরিযায়ী হিমালয়ান গৃধিনী শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে খাদ্য সংকটে অসুস্থ হয়ে পড়া শকুনগুলো উড়তে পারছিল না। এলাকাবাসী শকুন গুলো নীলফামারী বন বিভাগে হস্তান্তর করেছে। বন বিভাগের পক্ষে অসুস্থ শকুনগুলো চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার(৩১ ডিসেম্বর) সকালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত সিংড়া শকুন রেসকিউ সেন্টারের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।
সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নীলফামারী সুত্র জানায়, গত ২৭ডিসেম্বর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া ও খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ি এলাকা এবং ২৮ডিসেম্বর জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই মাঝাপাড়া ও পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশশী কোরানী পাড়া এলাকা থেকে উড়তে অক্ষম অবস্থায় হিমালায়ন জাতের চারটি শকুন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া এসব শকুনকে সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নীলফামারীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর বন বিভাগের শিংরা শকুন রেসকিউ সেন্টারের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নীলফামারীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, উড়তে অক্ষম এসব শকুন দেখে স্থানীয়রা আমাদেরকে খবর দেয়। খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকাগুলো থেকে শকুনগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে শকুনগুলোকে জিপিএস ট্রেকার লাগিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ যে, শীতে পুরো হিমালয় বরফে ঢেকে যায়। এসময় ওই অঞ্চলে প্রাণীদের খাদ্যসংকট হয়। বড় সমস্যায় পড়ে এই এলাকার সবচেয়ে বড় পাখি হিমালয় গৃধিনী শকুন। যা লম্বায় প্রায় ৪ ফুট এবং ওজন প্রায় ১২ কেজি হয়। এ-জাতীয় শকুন মূলত মরা পশু ও প্রাণী খেয়ে থাকে। শীতে বরফঢাকা এলাকায় খাবার না পেয়ে এই পাখিগুলো পরিযায়ন করে বাংলা দেশে চলে আসে।