বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজ দেশে ফিরে স্টকহোমে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেটা থুনবার্গ জানান, ইসরায়েলি সেনারা আটককৃতদের অপহরণ ও নির্যাতন করেছেন।
যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি গ্রেটা। সাংবাদিকেরা বারবার জানতে চাইলে তিনি শুধু জানান, তাকে বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হয়নি এবং অন্য আটক ব্যক্তিদের জরুরি ওষুধ পর্যন্ত দেয়নি।
গ্রেটা বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি যা সহ্য করেছি, তা বলতে চাই না। আমি চাই না, খবরের শিরোনাম হোক যে গ্রেটাকে নির্যাতন করা হয়েছে। এটা মূল গল্প নয়। আমাদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা গাজার মানুষের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতার তুলনায় কিছুই না।’
এদিকে গ্রেটার অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছ রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি। আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনো ধরনের অসদাচরণ করা হয়নি বলে একাধিকবার দাবি করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আটক সবাইকে পানি, খাবার ও শৌচাগার ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের আইনি পরামর্শ নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়নি এবং সব আইনি অধিকার পুরোপুরি রক্ষা করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গ্রেটা থুনবার্গ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামের গাজামুখী নৌবহরে ছিলেন। বহরটি গাজায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া এবং অবরুদ্ধ এ অঞ্চলের মানবিক বিপর্যয়ের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছিল। সম্প্রতি ফ্লোটিলা বহরের ৪৭৮ যাত্রীর সঙ্গে গ্রেটাকেও আটক করে ইসরায়েল। গত সোমবার তাকে নিজ দেশে থেকে ফেরত পাঠানো হয়