স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ যাত্রীবাহী ট্রেনের বড় ধরনের নাশকতা সৃস্টির পায়তার অভিযোগে দুই যুবক গ্রেপ্তার হয়েছে। এরা নীলফামারীতে রেললাইনের স্লিপার ক্লিপ খুলছিল। এলাকাবাসী বুঝতে পেরে ধাওয়া করে তাদের আটক করে পুলিশে দিলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় রেললাইন থেকে খোলা ১৬টি ক্লিপ হাতুরী, সাবল, হেস্ক ব্লেড ওই যুবকদের নিকট থেকে জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম নুরুল ইসলাম জানান,, ওই দুই যুবক সোমবার(১ এপ্রিল) রাত সারে ১০টার দিকে নীলফামারীর সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খয়রাত নগর এলাকা রেললাইনের ক্লিপ খুলছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নীলফামারী সোনারায় ইউনিয়নের জয়চন্ডী পুঁটিহাট এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২৬) ও উত্তর মুসশুর কুখাপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ওরফে বেলাল(৩২)।
পুলিশ বলছে, আটক দুজন উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক। তারা দুজনই স্থানীয় কলেজ থেকে ডিগ্রি (সম্মান) পাস করেছেন। ওই দিন রাতে তাঁরা খয়রাত নগর এলাকার রেললাইনের ফাঁকা জায়গায় রেললাইনের ক্লিপ খুলছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে তাঁদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা বলছেন ঘটনার সময় ওই পথে কোন যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচল ছিলনা। রাত দেড়টার পর আন্তঃনগর চিলাহাটি এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে চিলাহাটি আসার সময় ছিল। বিষয়টি বুঝতে না পারলে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি দূর্ঘটনার কবলে পড়তে পারতো। তবে রাতেই রেলওয়ের লোকজন এসে রেললাইন মেরামত করেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধা বলেন, যদি স্থানীয়রা বিষয়টি না দেখতেন, তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেত। আমার ধারণা, ওই দুই যুবক নাশকতার উদ্দেশ্যেই ক্লিপগুলো খুলেছে। রেলওয়ে পুলিশ বলছে মামলা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আইনগত ব্যবস্থানেয়া হয়েছে।
উল্লেখ যে, ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নীলফামারীতে রেললাইনের ৭২ পিস ফিসপ্লেট ক্লিপ খুলে নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখনও এলাকাবাসীর সচেতনতায় চিলাহাটি-খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন রক্ষা পায়।