আর্কাইভ  শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ● ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরে ১২ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫       আহতরা যেই দলেরই হোক, চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী       ২৭শে জুলাই রংপুর বিভাগের আট জেলায় কারফিউ শিথিল       সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের       "শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে"      

 width=
 

নীলফামারী-৩ আসনে আঃলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কোন্দল॥ মহাজোট প্রার্থী কোনঠাসায়

মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, রাত ০৮:৫৬

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে আওয়ামী লীগের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন পাওয়া সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার কপাল পুড়েছে। মহাজোটের আসন ভাগাভাগিতে আসনটিতে পূর্ণরায় প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে। 
সুত্র মতে, আওয়ামী লীগের জলঢাকা উপজেলা সভাপতি গোলাম মোস্তফা দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় তার সহধর্মীনী জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ সভাপতি মার্জিয়া সুলতানাকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করান। এ পরিস্থিতিতে দলের মধ্যে চরম কোন্দল দেখা দেয়। এতে গোলাম মোস্তফার স্ত্রীর কাউন্টার হিসাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ শামীম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন-আহ্বায়ক হুকুম আলী খান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল স্বতন্ত্র হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। 
মহাজোটের আসন ভাগাভাগিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মোস্তফার মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ওই চারজন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে সোমবার(১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের পর এলাকায় এখন ‘টক অব দি ডে’ হয়ে দাড়িয়েছে। 
একদিকে নৌকা পেয়ে হারানোর বেদনায় গোলাম মোস্তফা তার স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানার ঈগল প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ শামীম (মোড়া), উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন-আহ্বায়ক হুকুম আলী খান(ট্রাক) ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল(কাঁচি) প্রতীক নিয়ে তারা প্রচার প্রচারনায় মাঠে নেমেছেন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কয়েক খন্ডে বিভাজন হয়ে কোন্দলে যেমন জড়িয়েছেন তেমনি দলের পছন্দের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ নিয়ে প্রচার প্রচারনায় অংশ নিচ্ছেন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সাথে নেতাকর্মীদের দুরত্ব বেড়েছে বলে নেতাকর্মীরা জানায়। 
এছাড়াও মহাজোটের তথা জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাউন্টার হিসাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জেলা জাতীয় পাটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সহসভাপতি কাজী ফারুক কাদের (কেটলি) প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছে। ফলে  আওয়ামী লীগের চার স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নিজের দলের ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকার এই পরিস্থিতিতে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন মহাজোটের প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের রানা মোহাম্মদ সোহেল। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগের বেশকিছু নেতাকর্মীরা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের কারণে এই আসনটি(নীলফামারী-৩ জলঢাকা) জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে দেয়া হয়। এবার নৌকার প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফাকে নৌকার মনোনীত প্রার্থী করায় আমরা খুশিও হয়েছিলাম তার বিজয় নিশ্চিত করে এই আসনটি নেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ার জন্য। কিন্তু এই আসনটি পূণরায় মহাজোটের কাছে চলে যাওয়া আমরা হতাশ হয়েছি। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনিয়র এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, নৌকা পেয়েও হারাতে হলো আওয়ামী লীগের জলঢাকা উপজেলা সভাপতি গোলাম মোস্তফা। তিনি ডামি প্রার্থী হিসেবে তার সহধর্মীনী জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ সভাপতি মার্জিয়া সুলতানাকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করান। যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থীতা বাতিল হলেও আপিলে মার্জিয়া সুলতানা প্রার্থীতা ফিরে পান। কিন্তু সোমবার প্রর্তীক বরাদ্দের পর এখন যেহেতু এই আসনে নৌকার প্রার্থী নেই তাই স্বতন্ত্র আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র চারজন প্রার্থী মাঠে অবস্থান করছে। ফলে গোলাম মোস্তফার স্ত্রীর কাউন্টার হিসাবে প্রর্তীক নিয়ে মাঠে নেমেছে তিনজন। দলের লোকজন কাকে জিতাবে তা নেই নেতাকর্মীরা দ্বিধা ও কোন্দলে পড়েছেন। 

মন্তব্য করুন


 

Link copied