আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

পাটগ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ, আক্রান্ত হাজারো গরু

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, রাত ০৮:৫৯

Advertisement Advertisement

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ, আক্রান্ত হাজারো গরু। ভাইরাস জনিত এ রোগে মানুষ আক্রান্ত না হলেও প্রতিনিয়ত গরু ও মহিষে এ রোগের প্রাদুর্ভাব সারাদেশের ন্যায় পাটগ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে ফলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা ক্যাম্পেইন,রোগের লক্ষণ,রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ প্রচারে কর্মব্যস্ত। 
 
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ, আক্রান্ত পশুর ১ম পর্যায়ে জ্বর হয়, শরীরের বিভিন্ন বিভিন্ন অংশ ফুলে যায় ও মুখ থেকে লালা ঝরে দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে যায়। 
 
এছাড়াও চামড়ায় চাকাচাকা ঘা দেখা যায়। এ রোগের সুপ্তকাল ৪-১৪ দিন। অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে মাঠ পর্যায়ে খামারিদের সচেতন করা হচ্ছে। 
 
পাটগ্রাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে,গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে লাম্পি স্কিন ডিজিজ এ আক্রান্ত পশুর সংখ্যা অনেকে বেড়ে গেছে। এ রোগে চামড়ায় চাকাচাকা ঘা দেখা যায় এবং এক পর্যায়ে চামড়া খসে মাংস বেড়িয়ে আসে। গরমকালে এ রোগের প্রাদুর্ভাবটা বেশি লক্ষ্য করা যায়।
 
পাটগ্রাম পৌর সভার খামারী রহিম বলেন, ১৫ দিন আগে আমার খামারের লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগ দেখা দিলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করালে গরুটি ভালো হয়। এখন আবার আরেকটি গরুর সমস্যা দেখা দিয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে আমরা খামারীরা নিঃস্ব হয়ে যাবো। সরকার দ্রুতই ব্যবস্হা নিলে ভালো হয়। 
 
পাটগ্রাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোতারুল ইসলাম বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ একটি ভাইরাস জনিত রোগ যা গরম কালে বেশি হয় কারণ গরমকালে মশা, মাছির প্রাদুর্ভাবটা বেশি হয়, যেহেতু এটি ভাইরাস জনিত তাই এন্টিবায়োটিক কাজ করে না বা কার্যকরী কোন চিকিৎসা নেই, লক্ষ্মণ ভিত্তিক চিকিৎসা প্রদান করা হয় এবং ঠিকমতো চিকিৎসা প্রদান করলে এটি ভালো হয়। সারাদেশের ন্যায় পাটগ্রামেও এ রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা -কর্মচারীরা এটা নিয়ে কাজ করছে। মাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠক, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে খামারিদের সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়াও আমরা ভ্যাক্সিনেশনের পরামর্শ দিচ্ছি, এটি ভাইরাস জনিত হওয়ায় ভ্যাক্সিন প্রদান করলে মোটামুটি  ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। সরকারি ভাবে এ রোগটির ভ্যাক্সিন উৎপাদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, বেসরকারিভাবে এটি পাওয়া যায়, বছরে ১ বার এটি প্রদান করলে ১ বছর গবাদি প্রাণি সুরক্ষিত থাকে।

মন্তব্য করুন


Link copied