মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পাশের ঘরে বরকে রেখে সুমনা আক্তার (১৯) নামে নববধূ আত্নআত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাতের মেহেদীর রং না মুছতেই রহস্যজনক কারণে নানার বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক। এর গত মঙ্গলবার রাত অনুমান সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার পালশা ইউনিয়নের চৌধুরী গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুমনা আক্তার একই ইউনিয়নের চাটশাল সোনারপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়ার মেয়ে। ছোট বেলা থেকেই তিনি তার নানার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুমনার আক্তারের বাবা-মা দু'জনে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি তার নানা-নানীর নিকট থাকতেন। গত ১৮ আগস্ট সুমনা আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী চৌরিয়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের সাথে বিয়ে হয়। আব্দুস সোবহান পেশায় একজন কৃষক। বিয়ের পর সুমনা আক্তার স্বামীর বাড়িতেই ছিলেন। গত মঙ্গলবার সকাল অনুমান ১০ টার দিকে ৯ দিন পর নানার বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন। রাতে যখন সবাই টিভি দেখছিলেন, তখন সুমনা আক্তার সকলের অজান্তে পাশের ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বাড়ির লোকজন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তাকে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমনার মরদেহ উদ্ধার করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম জানান, কিছু দিন আগে নানা মোজাফফর হোসেন পাশের গ্রামের আব্দুস সোবহানের সাথে তার নাতনি সুমনাকে বিয়ে দেন। মেয়ে নানার বাড়ি বেড়াতে এসে এ ঘটনা ঘটায়।
তিনি আরও জানান, সুমনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ইতিপূর্বে এক মামাতো ভাইয়ের সাথে সুমনার বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর আগে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। অন্যদিকে আব্দুস সুবহানেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তিন মাস পূর্ব আব্দুস সোবহানেরও প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাঁদের নতুন বিবাহিত জীবন। আসলে কেন আত্মহত্যা করেছে তা বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রক্রিয়াধীন। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে তদন্ত চলমান আছে।