স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ প্রাইভেটকার আটকিয়ে গাড়ীতে থাকা এক কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর ঘটনার মামলায় মামুন আলম (১৯) নামের এক তরুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার(৬ মে) দুপুরে সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেট চত্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামুন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা শহরের নয়াটোলা এলাকার মো. সহীদ আলমের ছেলে।
এ ঘটনার প্রধান আসামী শহরের বাঁশবাড়ী মহল্লার শহীদ মাহাতাব বেগ লেনের বাসিন্দা জাবেদ ওরফে চঞ্চলের ছেলে জুনায়েদ তৌহিদী (১৯) সহ অজ্ঞাত আরও ৫জন পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সৈয়দপুরে স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সে নিয়মিত নিজেদের প্রাইভেট কারে করে দিনাজপুরের পার্বতীপুর শহরের বাসা থেকে কলেজে যাওয়া আসা করে। আর তাকে প্রায় সময় প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল সহপাঠী জুনায়েদ তৌহিদী। কিন্তু কলেজছাত্রী সহপাঠীর দেওয়া প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়্য় ওই সহপাঠী কলেজছাত্রীকে নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে গত বুধবার (৩ মে) বেলা ৩টায় কলেজ থেকে প্রাইভেটকারে বাড়ি ফিরছিল ছাত্রীটি। পথে আসামীরা ৪টি মোটরসাইকেল যোগে প্রাইভেটকারটিকে পার্বতীপুর সড়কের চেকপোস্ট মোড়ে ব্রিজের কাছে গতিরোধ করে। এরপর জুনায়েদ তৌহিদী প্রাইভেট কারের পেছনের বাঁ দিকের দরজা লাথি মারে এবং জোরপূর্বক গাড়ির দরজা খুলে টানাহেঁচড়া করে কলেজছাত্রীকে বের করে সড়কে ফেলে দেন। পরে ছাত্রীকে এলোপাতাড়ি মারধর করা শ্বাস রোধ করার চেষ্টাসহ কলেজ ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় প্রাইভেট কারের চালক মো. শাকিল কলেজছাত্রীকে রা করতে এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা তাকেও কিলঘুষি মারে। কলেজছাত্রী নিজেকে রার জন্য আবার গাড়িতে উঠতে চেষ্টা করলে জুনায়েদ তৌহিদী পুনরায় তাকে টানাহেঁচড়া বাইরে ফেলে দেয় এবং তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাথি ও কিলঘুষি মারতে থাকে। এতে কলেজছাত্রীর ডান হাতে গুরুত্বর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সৈয়দপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার(৫ মে) রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুন আলমকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তিনি জানান, মামলাটি গুরুত্বে সঙ্গে তদন্ত করাসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।