আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

প্লাস্টিক পণ্যে দ্বিগুণ ভ্যাট প্রস্তাব, বাড়বে দাম

সোমবার, ২ জুন ২০২৫, দুপুর ০৪:২২

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  বাজেটে প্লাস্টিকের তৈরি আসবাবপত্র, তৈজসপত্রসহ সব ধরনের পণ্যে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট দ্বিগুণ করতে যাচ্ছে সরকার।

সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রী, হাইজেনিক ও টয়লেট্রিজ সামগ্রীসহ অনুরূপ যে কোনো পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভ্যাট বাড়লে পণ্যের দাম বাড়বে। এতে বিক্রি কমে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।

ভ্যাট বাড়ালে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ভ্যাট বাড়লে প্লাস্টিক শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিক্রি কমে যাবে, উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্লাস্টিকের পণ্য সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে। ফেরিওয়ালারা এসব পণ্য বিক্রি করেন।

সামিম আহমেদ আরও বলেন, ব্যবসায় মন্দা, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানান কারণে আমরা এবার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবো না। প্রায় ২০ শতাংশের মতো পিছিয়ে আছি। ১০ মাসে ২৭৬ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে, যা ২৯৬ মিলিয়ন ডলার হওয়ার কথা ছিল। এখন আবার ভ্যাট বাড়লে আমাদের বিক্রি কমবে। উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার প্রভাব পড়বে রপ্তানিতেও।

বিপিজিএমইএর তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্লাস্টিক পণ্যের অভ্যন্তরীণ বাজার প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার। অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রায় শতভাগ পূরণ করতে পারছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।

প্লাস্টিক খাতের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আরএফএল, গাজী, বেঙ্গল, ওয়ালটন, আকিজ, তানিন ইত্যাদি। অন্যদিকে ওয়ালমার্ট, টেসকো, জারার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো বর্তমানে বাংলাদেশি প্লাস্টিক পণ্যের আন্তর্জাতিক ক্রেতা।

সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশ থেকে ১০ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়। প্লাস্টিক শিল্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, যেখানে কর্মসংস্থান হচ্ছে ১৫ লাখ মানুষের।

মন্তব্য করুন


Link copied