আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

ফুলবাড়ীতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, পুলিশের লাশ উদ্ধার

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, রাত ০৯:৩১

Advertisement Advertisement

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পঞ্চম শ্রেণির ফাতেমা আক্তার (১১) নামের এক স্কুল  ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 
 
নিহত  ফাতেমা আক্তার বালাতাড়ী গ্রামের নুর হোসেন ও তুলি বেগম দম্পতির একমাত্র কন্যা এবং বালারহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।  
 
ফাতেমার পরিবার সুত্রে জানা গেছে, নুর হোসেন চাকুরীর সুবাদে ঢাকায় থাকেন। ১১ বছরের ফাতেমা এবং সাত বছরের একটি ছেলে সন্তান সহ বাড়ীতে থাকেন তুলি বেগম। 
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবেশীর পুকুরে মাছ কুড়াতে যান তুলি বেগম। মাছ নিয়ে এসে বাড়ীতে রেখে আবারও ছাগলের জন্য গাছের পাতা আনতে বাহিরে যান। পাতা নিয়ে বাড়ীতে এসে ফাতেমাকে ডাক দিলে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে আড়ার( ধর্ণা) সাথে মেয়ের লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার দেন তিনি। পরে আশপাশের লোকজন এসে ফাঁস থেকে শিশুটির মরদেহ নিচে নামায়। শিশু মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে শতশত নারী পুরুষ উৎসুক জনতা জড়ো হয় ওই বাড়ীতে।  
 
খবর পেয়ে কুড়িগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী সার্কেল) মোজাম্মেল হক, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর সন্ধ্যা সাতটায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর জন্য ফুলবাড়ী থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।   
 
নিহতের মা তুলি বেগম (৩৫) জানান, মাছ কুড়িয়ে এনে ঘরে রাখার সময়ও ফাতেমা ঘরে ছিল। তাকে বাড়ীতে রেখে ছাগলের জন্য গাছের পাতা আনতে বাহিরে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর এসে দেখেন ঘরের আড়ার সাথে পরিধেয় ওড়না গলায় পেঁচানো অবস্থায় মেয়ের লাশ ঝুলানো। পরে চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা এসে ফাঁস থেকে লাশ নামিয়ে ফেলে। ফাতেমার মা তুলির সন্দেহ ফাতেমা আত্নহত্যা করেছে নাকি কেউ তাকে হত্যা করে ফাঁসে ঝুলিয়ে দিয়েছে।   
 
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী সার্কেল) মোজাম্মেল হক সন্ধ্যায় জানান, এটি হত্যা না আত্নহত্যা তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। নিহত শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ  উদঘাটনের জন্য মরদেহ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে।

মন্তব্য করুন


Link copied