আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

মানুষের দুর্দশা দেখেই ছুটে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী

মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২, দুপুর ০২:৩১

Advertisement Advertisement

ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিকে তাকাই, তবে দেখা যায় প্রতি ১০-১২ বছরে একেকটি বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে। তাই আমাদের সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়া উচিত।

তিনি বলেন, এবার দেশে বড় বন্যা শুরু হয়েছে। এত মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আমি মানুষের দুর্দশা দেখেই ছুটে এসেছি।

মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল সোয়া ১০টায় সিলেট সার্কিট হাউসে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসন বিষয়ে এক ‘মতবিনিময় সভায়’ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা, মানুষের জীবনমান উন্নয়নই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, তিনি সেটা করে যেতে পারেননি। তার আগেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার।

সরকারপ্রধান বলেন, আমি বলব বন্যা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগে থেকেই আমার কার্যালয়ে বন্যার বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য বলে রেখেছিলাম। প্রায় এক-দেড় মাস আগে থেকেই সবাইকে বলতাম, এবার খুব বড় একটা বন্যা আসবে, সেটি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে। এটা প্রাকৃতিক একটা পরিস্থিতি দেখে আন্দাজ করা যায়। 

তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেয়া হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের যত খাদ্য লাগে, ওষুধ লাগে সব দেয়া হবে। বন্যায় মাছচাষিরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সে জন্য ব্যবস্থা নেবে সরকার। বন্যায় যারা কাজ করছেন তাদেরও সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। বন্যার পানিতে যাতে ঠান্ডা লেগে কেউ অসুস্থ না হন।

বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নতুন নয়, সরকার ও বিরোধী দল সব অবস্থাতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবার আগে দুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যায়।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে এ বন্যা-প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচার মানসিকতা থাকতে হবে। সে কারণে আমাদের অবকাঠামোগত যত উন্নয়ন হবে সেগুলো মাথায় রেখে করতে হবে। 

এর আগে সকাল ৮টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। যাবার পথে লো-ফ্লাই মুডে (খুব নিচু দিয়ে উড়ে) হেলিকপ্টার থেকে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তিনি। পরে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী হেলিকপ্টার। সকাল ১০টায় সিলেট সার্কিট হাউসের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের রেকর্ড বৃষ্টি চরম দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মৌসুমের তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অন্তত ৪০ লাখ মানুষ। বন্যায় পানিবন্দি মানুষের মধ্যে হাহাকার ও আর্তনাদ চলছে। আশ্রয়ের খোঁজে পানি-স্রোত ভেঙে ছুটছে মানুষ। শিশুরা বাদে বেশি বিপদে আছেন বয়স্করা। আটকেপড়াদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে। যেখানেই শুকনো ও উঁচু জায়গা পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। 

মন্তব্য করুন


Link copied