আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

রংপুরে মামলার তালিকাভুক্ত ৮ পুলিশ কর্মকর্তা ১০ মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি

বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫, রাত ১০:৩০

Advertisement Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম শহিদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যায় দুটি মামলার আসামি ৮ পুলিশ কর্মকর্তা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী রোকনুজ্জামান জানান, একই ঘটনায় দুটি মামলার মধ্যে একটি পুলিশের করা, অন্যটি নিহতের ভাইয়ের। একটিরও তদন্ত শেষ হয়নি। ১০ মাসেও মামলার তালিকাভুক্ত ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার তো দূরে থাক সাময়িক বহিষ্কার পর্যন্ত করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। রমজান আলীর করা মামলায় পুলিশের গুলিতে হত্যার অভিযোগ এনে কনস্টেবল সুজন চন্দ্র এবং সহকারী এএসআই আমির আলীকে প্রধান আসামি করে মোট ১৭ জনসহ আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

অপরাপর আসামির তালিকায় আছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার তৎকালীন ওসি রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়, এএসআই আমির আলী এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।

তালিকাভুক্ত আসামির ১০ পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে কেবল দুই পুলিশ কনস্টেবল সুজন চন্দ্র এবং এএসআই আমির আলীকে আটক করা হয়েছে। বাকি ৮ পুলিশ কর্মকর্তা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী রোকনুজ্জামান আরো জানান, আমরা সংক্ষুব্ধ যে আবু সাঈদ হত্যা মামলার মতো ঘটনার এখনো দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এ মামলা গতি না পেলে পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় এবং জুলাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যাবে। এটা খুব হতাশা ও দুঃখজনক।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এজহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে আমির হোসেন ও সুজন চন্দ্র রায় সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন।

রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন ও রংপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার জাকির হোসেনকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, আমি মামলাটা পাওয়ার আগেই অনেক আসামি পালিয়েছে। আমরা অনেকের পাসপোর্ট জব্দ করার বন্দোবস্ত করেছি।
এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও (আইসিটি) তদন্তের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। ৭ মে জুলাই আন্দোলনে একাধিকবার হামলা এবং আবু সাঈদ হত্যার অভিযোগে বেরোবি রেজিস্টার ড. মো. হারুন-অর রশিদ ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাজহাট থানায় আরও একটি মামলা করেন।

মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন (৪০), সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান (৪৫), তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, ফাঁড়ি ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, কনস্টেবল আমির আলী, উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ উপ-কমিশনার রংপুর শাহানুর আলম পাটোয়ারী।

মন্তব্য করুন


Link copied