আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতি ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ

বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, বিকাল ০৬:৩৯

Advertisement Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদচ্যুতি ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সমাবেশ থেকে অভিযোগ করা হয়, ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা বর্তমান রাষ্ট্রপতি স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তাকে অবিলম্বে পদচ্যুতি করার পাশাপাশি খুন-গুম-সন্ত্রাসের মাফিয়া সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর নগরীর কলেজ রোড লালবাগ এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করে। মিছিলটি লালবাগ হয়ে খামার মোড়, চারতলা মোড়, শাপলা চত্বর, গ্রান্ড হোটেল, প্রেসক্লাব চত্বর, জাহাজ কোম্পানীসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদের ‘দফা এক দাবি এক, চুপ্পুর পদত্যাগ’, ‘এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়’, ‘দড়ি ধরে মারো টান, চুপ্পু হবে খান খান’, ‘চুপ্পুর কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘মুজিববাদ নিপাত যাক, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘ছাত্রলীগের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘একটা দুইটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা বস্তায় ভর’, ‘নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ’, ‘স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ছাত্রলীগ-যুবলীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের প্রতিনিধি ইমরান আহমেদ, ইমতিয়াজ ইমতি, সাজ্জাদ হোসেন, আলী হোসাইন, নাহিদ হাসান খন্দকার, ডা. জামিল প্রমুখ।

এসময় তারা বলেন, বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ দেশের প্রতিটি সরকারি, বেসরকারি অফিসে তাদের ফ্যাসিবাদি কর্মকাণ্ড চালু রেখেছিল। শেখ হাসিনা পালালেও তার দোসররা এখনো তা অব্যাহত রাখার পায়তারা করছে। ঠিক এমনি অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা রাষ্ট্রপতির আসনে থাকা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। অনতিবিলম্বে চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরাতে হবে। স্বৈরশাসকের প্রোডাক্ট এই চুপ্পু রাষ্ট্র এবং জনগণের জন্য হুমকি।

বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, রাষ্ট্রপতি সুকৌশলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করার মিশনে নেমেছেন। রাষ্ট্রপতি বিতর্কিত দিয়ে তার নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন। তাকে পদত্যাগ করতে হবে। যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে অবস্থা হবে ফ্যাসিবাদী হাসিনার মতো। একই সঙ্গে গণহত্যার দায়ে খুন-গুম-সন্ত্রাসের মাফিয়া সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ এদের সকল অঙ্গ সংগঠনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের রাজনীতি বাংলার ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।

মন্তব্য করুন


Link copied