আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

লালমনিরহাটের ধরলা পাড়ে সরকারীভাবে বালু তোলায় চরাঞ্চলবাসীর মাথায় হাত

সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪, দুপুর ০২:৪৯

Advertisement Advertisement

লালমনিরহাট প্রতিনিধি।। লালমনিরহাটে রেকর্ডভুক্ত সম্পত্তি খাস খতিয়ান দেখিয়ে বালু উত্তোলন করায়, ফসলের জমির ক্ষতি সাধন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, বন্যার আশংকাসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকিতে পরতে বসেছে জেলার ধরলা নদীর পাড় এলাকাগুলোয়। অধিক পরিমানে ট্রাক্টর চলাচলের কারনে ধরলা নদীর রক্ষা বাঁধটিও হুমকীর মুখে পড়তে বসেছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১২টায় লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াপদা বাজারে চর শিবেরকুটি ও বনগ্রাম এলাকার সাধারণ জনগণ একটি মানববন্ধন করে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কটেশনের মাধ্যমে ধরলা পাড়ের জমিগুলোিে স্তুপ আকারে জমে বালু অপসারনের নিলাম করা হয়। সেদিন বালু অপসারন বাবদ প্রতি সিপ্টি শতকার ০.৭৫ টাকা দরে ৮লক্ষ ২৯ হাজার ৩শত ৪৭ টাকা দরে সর্বমিম্ন দরদাতাকে নিলাম প্রদান করা হয়।

চর শিবেরকুটির জনসাধারণের পক্ষে কায়ইম মুন্সি, মোতালেব, আতিকুল, মজিবর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় চর শিবেরকুটির ৫শতাধিক জনসাধারণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নদীতে আমাদের রেকর্ডভুক্ত জমি আছে। সেখানে আমরা চরাঞ্চলের চাষীরা ভূট্টাসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে আসছি। সেই আবাদি জমি গুলোর পাশ থেকেই বালু উত্তোলন করছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান। ঐ স্থান থেকে ৩ফিট গভীর পর্যন্ত বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও ইজারাদার প্রতিষ্ঠান সেখানে ১০থেকে ১২ ফিট গভীর পর্যন্ত বালু উত্তোলন করছেন। গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলন করায় আমাদের ফসলি জমিগুলো এখনই সেই গর্তে ভেঙ্গে পড়ছে। ফলে আমরা কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

বক্তারা আরও বলেন, প্রতিদিন শত শত ট্রাকে করে বালু নিয়ে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন ধরলা নদীর রক্ষা বাঁধটি বিলিন হওয়ার পথে অপরদিকে চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট গুলোর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে ট্রাকগুলো চলার কারণে ধুলোবালিতে আমাদের বাড়ি-ঘর ভরে যাচ্ছে। এ কারণে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষেরা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন।

খুব দ্রুত শিবেরকুটি এলাকার ধরলা পাড়ে বালু উত্তোলন বন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকীও দেন নক্তারা।

মন্তব্য করুন


Link copied