আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

সাংবাদিক হলে এনসিপির প্রচারণায় কী করতেন, জানালেন প্রেস সচিব

শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, দুপুর ০২:৫৪

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, যদি সাংবাদিক হতেন তাহলে নির্দ্বিধায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতেন। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।

শফিকুল আলম লেখেন, যদি আমি সাংবাদিক হতাম, বিশেষ করে একজন ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার, তবে নির্দ্বিধায় জাতীয় নাগরিক পার্টির তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ যাত্রায় অংশ নিতাম। কারণ এ সফর কেবল একটি প্রচারণা নয়- এটি হয়ে উঠছে এক নতুন রাজনৈতিক ভোরের সূচনা, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের গতিপথ পাল্টে দিতে পারে।

তিনি লেখেন, মাত্র এক বছর আগেই তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন এক নৃশংস শাসকের পতন ঘটায়। সেসব তরুণই আজ দেশের প্রান্তে প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তৃণমূলের সমর্থন জোগাড় করে একটি নতুন রাজনৈতিক শৃঙ্খলা গঠনের লক্ষ্যে। কয়েক মাস আগেও যাদের ক্লান্ত ও বিতর্কিত মনে হয়েছিল, আজ তারা নতুন উদ্দীপনায় পথে নেমেছেন। এ যাত্রা যেন তাদের আন্দোলনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে। তাদের আশা এখন আকাশ ছোঁয়া, লক্ষ্যও স্পষ্ট।

শফিকুল ইসলাম লেখেন, এনসিপির বহর যখন শহর থেকে গ্রাম, মাঠ থেকে মোড়ে মোড়ে এগিয়ে চলেছে, তখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তারুণ্যের জোয়ার। উদ্দীপনা নিয়ে ছেলেমেয়ে মিলে হাজারো তরুণ এ অভিযাত্রায় অংশ নিয়েছে। তবে প্রশ্নও উঠছে- তারা কি পারবে সত্যিই টক্কর দিতে বিএনপি বা জামায়াতের মতো পুরনো দলের শক্তির বিরুদ্ধে?

তিনি আরও লেখেন, এ সফর আসলে এক পরীক্ষা- বাংলাদেশের গণতন্ত্র ঠিক কোন পথে হাঁটবে। গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে, কেমনভাবে এই তরুণ প্রজন্ম দেশের রাজনীতিকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে চায়। যদি তারা জনসমর্থন ধরে রাখতে পারে, হয়তো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে।

তিনি লেখেন, মাঠপর্যায়ে থাকা সংবাদকর্মীদের জন্য এটি এক অনন্য সুযোগ- যা কেবল একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের খবর নয়, বরং ইতিহাস নির্মাণের অংশ হয়ে ওঠার সুযোগও বটে। এ যাত্রার স্বপ্ন, সংকট ও পরিবর্তনের যে প্রক্রিয়া চলছে, তা তুলে ধরতে পারলে তা সাংবাদিকতার গণ্ডি ছাড়িয়ে একটি যুগান্তকারী সময়ের প্রামাণ্য দলিলে পরিণত হতে পারে। ফেসবুক কিংবা এক্সের মতো সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত প্রতিবেদন ও ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ শেয়ার করলে, এ পরিবর্তনের অন্তরাল চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠতে পারে।

তিনি আরও লেখেন, আপনার লেখাগুলো হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক ভোরের পথচলার গুরুত্বপূর্ণ দলিল। সামনে এগিয়ে আসুন- লিখুন, আর এ রূপান্তরকালের একজন প্রত্যক্ষ অংশীদার হয়ে উঠুন।

মন্তব্য করুন


Link copied