নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ি চাষের সম্ভাবনা ও করনীয় বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের কামাল নগরস্থ লেকভিউ যমুনা হলে ভারতের চেন্নাইয়ে অবস্থিত এসপিএফ রয়েল হ্যাচারী, রয়েল বাংলা হ্যাচারীস লিমিটেড ও শিং লং বায়ো-টেক প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আনিসুর রহমান। কালীগঞ্জ থানার সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা। শিং লং বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের ওভারসিজ ম্যানেজার আইআপ্পান, ভারতের তামিলনাড়ু হ্যাচারী এসোসিয়েশানের সভাপতি রয়েল হ্যাচারী চেন্নাইয়ের চেয়ারম্যান জি কালরাজ, খুলনা বিভাগীয় হ্যাচারী মালিক সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ (বাবলা), সেতারা ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. খায়রুল মোজাফফর মন্টু, সম্পা ফিসের স্বত্বাধিকারী বিশ্বনাথ ঘোষ, স্বদেশ ফিসের স্বত্বাধিকারী শেখ শাফি আহম্মেদ, উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, এস এম মামুন উর রশিদ "ব্যবস্থাপনা পরিচালক" রয়েল বাংলা হ্যাচারীস লিমিটেড।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য বিভাগের মৎস্য সচিব ও মৎস্য মহাপরিচালক সহ অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দের একটি দল ভারতের তামিলনাড়ুতে অবস্থিত রয়েল হ্যাচারী ও খামার পরিদর্শন করে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর গত ২৯ মার্চ ২০২৩ আকারে ভেনামি রেনু উৎপাদন ও চাষের অনুমতি দিয়েছেন। তবে কর্মশালায় মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, “ভেনামি চিংড়ি চাষ করার আগে চাষিকে যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার আহবান জানান। তারা বলেন, ভেনামি চিংড়ি চাষে ভাইরাসের আক্রমণ কম হয়। সে কারণে ভেনামি চাষ লাভজনক। বর্তমানে বিশ্ব বাজারে ভেনামি চিংড়ির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। বিশ্ব বাজারে এখন ভেনামি চিংড়ি বড় অংশ দখল করে নিয়েছে। আমরা যদি পিছিয়ে পড়ি তবে আমাদের চিংড়ি থেকে অর্জিত বৈদশিক মুদ্রা অর্জন ব্যাহত হবে।”
কর্মশালায় বক্তারা সাতক্ষীরায় ভেনামি চিংড়ি চাষের সম্ভাবনা ও সীমিত সময়ে অধিক লাভবান হওয়া নিয়ে চাষীদের সাথে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। কর্মশালায় বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ি চাষ বিষয়ে তথ্যউপাত্ত মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। এসময় জেলার বিভিন্ন উপজেলার হ্যাচারী মালিক, চিংড়ি চাষী, পোনা ব্যবসায়ী ও চিংড়ি খাদ্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।