আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

‘সাকিব অবৈধ সরকারের এমপি, তা ভুলে গেলে শহীদদের সঙ্গে বেঈমানি হবে’

শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, দুপুর ০৩:২৫

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সদস্য ছিলেন সাকিব আল হাসান। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের আগে থেকেই যে কারণে জনরোষে পড়ে গেছেন দেশের ইতিহাসের সেরা এই ক্রিকেটার।

অবৈধ সরকারের সদস্য হিসেবে তার বিচার রাষ্ট্রই করবে, মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি আরও জানান, সাকিব অবৈধ সরকারের এমপি, তা ভুলে গেলে শহীদদের সঙ্গে বেঈমানি হবে।

গত বছর জুলাইয়ের আগে থেকেই দেশের বাইরে ছিলেন সাকিবের। এরপর সরকার পতন হলে আর দেশে আসা হয়নি তার। মাঝে গেল অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তার খেলার কথা থাকলেও জনরোষের ভয়ে তিনি আর দেশে ফেরেননি। তার নামে ইতোমধ্যেই একাদিক মামলা ঝুলছে। আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কারাদণ্ডাদেশও আছে।

তাকে নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমিনুল বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর এবং অবৈধ সংসদের একজন এমপি সাকিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে। খেলোয়াড় থাকাকালীন অবৈধ সরকারের প্রলোভনে পড়ে তাঁর এমপি হওয়ার বিষয়টি যদি ভুলে যান, তাহলে ওই যে রক্ত ঝরেছে এবং যাঁদের জীবন গেছে, তাঁদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।’ 

এর আগেও সাকিব প্রসঙ্গে আমিনুল একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘সাকিব গত ১৭ বছরের স্বৈরাচার সরকারের একজন এমপি হিসেবে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নিজের সুবিধার জন্য তিনি অবৈধ সংসদে যোগ দিয়েছেন। স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে বিচার হবে, ইনশাআল্লাহ।’

২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন সাকিব আল হাসান। সাকিবের সংসদে যাওয়ার ইচ্ছা অবশ্য আরও অনেক পুরোনো। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মাশরাফি বিন মুর্তজা নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে নির্বাচনেই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একজন ছিলেন সাকিব। সেবার না হলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে ঠিকই নাম লেখান তিনি। 

তবে খেলোয়াড়ি জীবন চলাকালেই রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে সাকিব তোপের মুখেই পড়েন। তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা দেশের ক্রীড়া ও রাজনৈতিক অঙ্গন তো বটেই, জনপরিসরেও সমালোচনা জন্ম দেয়। এরপর গেল বছর জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে তার বিতর্কিত সব মন্তব্য ও পোস্ট তার বিরুদ্ধে জনরোষ আরও বাড়িয়ে দেয়।

মন্তব্য করুন


Link copied