আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হত্যা মামলা থেকে নিজেকে আড়াল করতেই ছদ্মবেশ ধরে হেলাল

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২, দুপুর ০৩:১৫

Advertisement Advertisement

বগুড়া: বগুড়া শহরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজের অবস্থান জানান দিতে তিন জনকে হত্যা করে হেলাল হোসেন ওরফে সেলিম ফকির ওরফে বাউল সেলিম ওরফে খুনি হেলাল (৪৫)। ওই হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলা থেকে নিজেকে আড়াল করতে গত ২০ বছর ধরে বাউল ছদ্মবেশে ঘুরছে সে। হত্যাকাণ্ডের পর ভৈরব স্টেশনে গান গেয়ে নতুন করে জীবন শুরু করে এবং দ্বিতীয় বিয়ে করে। মূলত হত্যাকাণ্ডের সাজা থেকে বাঁচতেই তার এসব কৌশল। 

বুধবার (১২ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছদ্দবেশী বাউল হেলাল হোসেনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে যে ৩টি হত্যা মামলা রয়েছে, সবগুলোই বগুড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। সে বগুড়ার একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৯৭ সালে বগুড়ার বিষ্ণু হত্যা মামলা, ২০০১ সালে বগুড়ার চাঞ্চল্যকর বিদ্যুৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি সে। এছাড়া ২০০৬ সালে রবিউল হত্যা মামলার আসামি ছাড়াও ২০১০ সালে বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা একটি চুরির মামলায় ২০১৫ সালে সে গ্রেফতার হয়। ২০১১ সালে তার বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়‌‌। ২০০০ সালে বগুড়া শহরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে বামহাতে আঘাত পায় সে এবং একপর্যায়ে বামহাত পঙ্গু হয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় এসে হাত লুলা হেলাল নামেও পরিচিত ছিল সে।’

গ্রেফতার হেলালকে সিরিয়াল কিলার হিসেবে ব্যাখ্যা দেওয়ার কারণ সম্পর্কে র‌্যাব জানায়, তার বক্তব্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত তিনটি হত্যা মামলায় সে জড়িত। ২০০৯ সালের পর ঘটা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য আমরা সহজেই পেয়ে যাই। কিন্তু এর আগের তথ্য থানা থেকে সংগ্রহ করতে হয়। আমরা যখন তাকে থানা পুলিশে হস্তান্তর করবো, তখন থানা পুলিশও এসব বিষয় খতিয়ে দেখবে। পরে তারাও আরও কোনও মামলার সংশ্লিষ্টতা পেতে পারে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছদ্দবেশী বাউল হেলাল র‌্যাবকে জানায়, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে এলাকায় মুদির দোকান করতো সে। পরে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। চুরির মামলায় ২০১৫ সালে যখন জামিন পায়, তখন সে কৌশলে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রাম চলে যায়। সেখানে কয়েকদিন অবস্থানের পর সিলেটে ছদ্মবেশ ধারণ করে কিছুদিন অবস্থান করে। বিভিন্ন সময় সে তার নাম পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন রেলস্টেশন ও মাজারে ছদ্মবেশে অবস্থান করতো। সে প্রায় ৭ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফেরারিভাবে জীবন যাপন করছে এবং গত চার বছর ধরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেল স্টেশনের পাশে একজন নারীর সঙ্গে সংসার করে আসছে। রেলস্টেশনে বাউল গান গেয়ে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।

মন্তব্য করুন


Link copied