আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের পীরগাছায় একমাসে ১২টি ট্রান্সফরমার চুরি

রংপুরের পীরগাছায় একমাসে ১২টি ট্রান্সফরমার চুরি

৪৯তম বিসিএসের প্রশ্নে শহীদ আবু সাঈদ, আলোচিত ‘আয়নাঘর’

৪৯তম বিসিএসের প্রশ্নে শহীদ আবু সাঈদ, আলোচিত ‘আয়নাঘর’

রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

বৈশাখকে বরণ করে নিতে ব্যস্ত নীলফামারীর শিক্ষার্থী ও চিত্রশিল্পীরা

বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২, রাত ০৯:৩৫

Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী॥ এসো হে বৈশাখ এসো এসো......আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। আর এই বৈশাখকে বরণ করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলছে নানা রকমের প্রস্তুতি। বৈশাখকে সামনে রেখে বৈশাখ বরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য শোলা দিয়ে নানা রকমের হাতি, ঘোড়া, একতারা, বউ তৈরি ও রং করা এবং মাটির কলসে নকশা করাসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চিত্রশিল্পীরা ।

সরকারি ভাবে নীলফামারী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ বরনে বিভিন্ন সংক্ষিপ্ত কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিবছরে জাঁকজমক ভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন হলেও গত দুই বছর (২০২২-২০২১) করোনা মহামারির কারণে পালন করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার মাহে রমজানে পহেলা বৈশাখের দিন হওয়ায় সরকার সংক্ষিপ্ত পরিসরে পালন করার নির্দেশ দিয়েছে। 

বুধবার (১৩ এপ্রিল) কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ চত্বরে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা দলে দলে বসে বৈশাখ বরণের প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য তারা নিজ হাতে তৈরি করছে নানা রকমের উপকরন। কেউ শোলা কেটে তৈরি করছে নানা উপকরন। কেউ তৈরি করছে শোলা দিয়ে হাতি, কেউ বউ, কেউ শোলার উপর আঁকছে নানা রকমের আলপনা ও ছবি। কেউ কেউ সেই উপকরণগুলোতে ছুয়ে দিচ্ছে হরেক রকমের রঙ্গিন রংয়ের ছোঁয়ার ডিজাইন। মাটির ঐতিহ্যবাহী হাড়িতে নানা রকমের আলপনা আঁকা, ব্যানার-ফেস্টুন তৈরি করা, টি-শার্টে লেখা, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দেয়ালে আলপনা আাঁকাসহ নানা রকমের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বৈশাখ মানেই সবকিছুতেই যেন প্রাণের ছোঁয়া। মানুষসহ প্রকৃতি যেন বৈশাখকে বরণ করার জন্য অধির আগ্রহে পথ চেয়ে বসে আছে।

শিক্ষার্থী সাভা আহমেদ, জেসমিন আক্তার, আফরোজা বানু, শাহেদ হোসেনসহ আরো অনেকেই জানায় আমরা নতুন প্রজন্মরা বর্তমানে গ্রামীণ অনেক ঐতিহ্যকে ভুলে গেছি। কিন্তু পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে গ্রামের অনেক ঐতিহ্য এখন শহরে দেখা যায়। প্রতিবছর আমরা পহেলা বৈশাখের জন্য অপেক্ষায় থাকি। বৈশাখ মানেই হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্যকে আবার নতুন করে ফিরে পাওয়া। আর বৈশাখকে বরণ করে নিতেই আমাদের এই ব্যস্ততা। আমরা নিজ হাতে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য বিভিন্ন বাহারী উপকরন তৈরি করছি। এই কাজগুলো করতে আমাদের খুব ভালো লাগে। আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্যকে নতুন করে জানতে পারছি। 
প্রতিষ্ঠানে চারুকলা শিক্ষক অরিন্দম ধর জানান, করোনা মহামারির কারণে দুই বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় নি। এবার সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলেও তা উদযাপন করা হবে। বাচ্চারা আবারও হাতে রং-তুলি হাতে নিয়েছে, তা দেখে ভালো লাগছে। 

নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম জানান,রমজানের রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ বরনে নীলফামারী কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের চ¤পাতলী বৈশাখী চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী সকাল ৯ টায় শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় ওই চত্বরে এসে শেষ হবে। সেখানে শিশুদের বিভিন্ন প্রতিযোগীতা আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি উৎসব ও পুরস্কার বিতরনের আয়োজন করা হয়েছে। সেই সাথে সরকারের নির্দেশিত আলোকে বৈশাখের সকল অনুষ্ঠান দুপুর ২ টার মধ্যে শেষ করা হবে। 

মন্তব্য করুন


Link copied