স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ পাওয়ানা দারদের টাকা পরিশোধ করার আহবান উল্লেখ করে ছোট ভাইকে মানুষের মতো মানুষ গড়ে তোলার কথা চিরকুট লিখে নীলফামারীর পল্লীতে রাসেল ইসলাম রানা (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী আতœহত্যা করেছে।
“চিরকুটে লিখা ছিল, আমি পারিবারিক মানসিক চিন্তায় নিজের জীবন নিজেই দিতাছি কাউকে কেউ দোষারোপ করবেন না। আমার মৃত্যুতে যেন আমার বাবা না কাঁদে। মা ছোট ছেলেকে মানুষ করিও। আমার জন্য তোমাদের অনেক ক্ষতি হলো। আল্লাহ হাফেজ। আমাকে সবাই মাফ করে দেবেন, আমার কাছে কিছু ব্যক্তি টাকা পাবে। রাসেল কে কত টাকা পাবে তাদের নামের তালিকা ও টাকার পরিমান উল্লেখ করে টাকাগুলো পরিশোধের জন্য বলে ওই চিরকুটে।”
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার(১৯ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজার এলাকায়। রাতে গলায় ফাঁস দেয়া দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট পায় পুলিশ।
রাসেল রানা ওই এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুল হালিমে ছেলে। সে রামগঞ্জ ভোকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সে মানসিক রোগে ভুগছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ বাড়িতে তার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় রাসেল। সন্ধ্যায় পর বাসার লোকজন তার রুমের ভেতর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ডাকাডাকি করে।
নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে শুক্রবার(২০ অক্টোবর) নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।