বিশেষ প্রতিনিধি॥ এসএসপি পরীক্ষার ফলাফলে নীলফামারীর ডিমলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুইজন এসএসসি পরীক্ষার্থী পাস করেনি।
রবিবার(১২ মে) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে এমন চিত্র উঠে এসেছে। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলীর পাঠানো পরিসংখ্যানে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়। সেই তথ্যে যানা যায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন, কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার পূর্ব সুখতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁচজন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঘোগোয়া মালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৪ জন ও দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার চৌমহনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কোন শিক্ষার্থী পাস না করে নি।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে ওই বিদ্যালয়ে দুইজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করতে পারেনি। সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করলেও বিদ্যালয়টি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি।
একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে হওয়ায় বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের জন্য ২০২১ সালের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাষ্টের অনুমোদন পায়। যা প্রক্রিয়াধীন।
বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ ১২ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী আছেন। বিদ্যালয়টির একাডেমিক স্বীকৃতি পায় ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে। তবে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি থাকলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানাতে পারেননি শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ।
রবিবার দুপুর ২টার দিকে সরজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে তালা বন্ধ পাওয়া যায়। মাঠে বেঁধে রাখা হয়েছে গরু-ছাগল। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়টি বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। মাঝে মধ্যে দুই একজন শিক্ষক-কর্মচারী আসলেও শিক্ষার্থীর দেখা মেলে না। আজকে (রবিবার) প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক ও কর্মচারী এসেছিল। সাড়ে ১০টার দিকে তারা চলে গিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হাবিব সরকারের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয়দের কাছে তার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে তার বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন বলেন তিনি বাড়িতে নেই।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী কতজন ছিলেন এটা তার জানা নেই। বিষয়টি জেনে পরে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার তাকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফরোজা বানু সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলায় মাত্র একটি বিদ্যালয়ে ফলাফলের শতকরা হার শূন্য। এবার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দুইজন পরীক্ষা দিয়ে কেউ পাস করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, এমন ফলাফলের কারণ জানার জন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে জবাব চাওয়া হবে দ্রুত।