ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে না পারাকে সাংগঠনিক দুর্বলতা হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সমন্বয়হীনতা কাটিয়ে উঠতে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দায়িত্বশীল পদে থেকে দলের সংকট মুহূর্তে গা ঢাকা দেওয়া নেতা এমনকি দলের এমপিসহ প্রভাবশালী যাঁরা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন তাঁদের তালিকা করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের শীর্ষ নেতা, ঢাকার দলীয় এমপিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। বৈঠকে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর বার্তা তিনি জানিয়ে দেন মহানগরী ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকসূত্র জানান, বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত কয়েক দিন ক্রাইসিস মুহূর্তে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা চরমভাবে ফুটে উঠেছে। একই সঙ্গে নেতা-কর্মীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও দেখা গেছে। এ সমন্বয়হীনতা কাটাতে হবে। নেত্রী সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন।
যাঁরা দায়িত্বশীল পদে থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন, কেউ কেউ বিদেশ গিয়েছেন তাঁদের তালিকা করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেন কাদের। ঢাকা মহানগরী উত্তর-দক্ষিণের শীর্ষ নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগরী ওয়ার্ড-থানার দীর্ঘদিন সম্মেলন হয়েছে। কিন্তু নেতারা কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁরা এক হতে পারেননি দীর্ঘদিন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা শক্ত ভূমিকা রাখতে ও বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে না পারায় ক্ষুব্ধ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে দলীয় সভানেত্রীর কঠোর বার্তাই দলটির সাধারণ সম্পাদক আমাদের জানিয়েছেন। তারা বলেন, শুধু ওবায়দুল কাদেরই কথা বলেছেন। অন্য কোনো নেতা কথা বলেননি।