আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

ঠাকুরগাঁওয়ে তিন দিনব্যাপী মাছ ধরা উৎসব

বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, রাত ০৯:২৫

Advertisement Advertisement

অনলােইন ডেস্ক : বুড়িরবাঁধ নামক এলাকায় তিন দিনব্যাপী মাছ ধরা উৎসবের দ্বিতীয় দিনেও মেতেছিল শত শত শৌখিন মৎস্যশিকারি। এ ছাড়া বুধবারেও অনেকে সেখানে ভিড় করেছেন মাছ ধরা দেখতে এবং টাটকা মাছ ক্রয় করতে। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার মাছ পাওয়া যাচ্ছে অনেক কম।

 

ঠাকুরগাঁও শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার চিলারং ও আকচা ইউনিয়নের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত শুক নদীর তীরে বুড়ি বাঁধ। মঙ্গলবার ভোরে বাঁধের গেট খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকেই শুরু হয় মাছ ধরা উৎসব। দুইদিনই সেখানে দেখা যায়, ভোর থেকেই জাল, পলো আর মাছ রাখার পাত্র খলই নিয়ে বাঁধ এলাকায় জড়ো হয় শত শত মানুষ। নানান বয়সের লোকজনের মধ্যে কেউ ভেলায়, কেউবা ছোট নৌকায় দাঁড়িয়ে একর পর এক পানিতে ফিকা জাল ছুড়ে ফেলে মাছ ধরতে ব্যস্ত সবাই। সেখানে যেন চলছে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা। আর বাঁধে দাঁড়িয়ে এই প্রতিযোগিদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনরা। মাছ ধরার জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ যেন উপচে পড়েছে নদীর তীরে।

 

কেবল পুরুষরাই নয়, নারী-শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও নেমে পড়েছেন মাছ ধরতে। কারও হাতে খেওয়া জাল, কারও হাতে লাফি জাল, কারও হাতে পলো। অনেকেই কোনো সরঞ্জাম ছাড়া খালি হাতেই নেমে পড়েছেন মাছ ধরতে। এতে লোকেলোকারণ্যে পরিণত হয় এলাকাটি। মাছ ধরা উৎসবকে ঘিরে বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় বসেছে খাবারের হোটেল, ফলের দোকান, খেলনা ও প্রসাধনীর দোকান। বাইরে থেকে আসা মানুষের মোটরসাইকেল ও সাইকেল রাখার জন্য  তৈরি হয়েছে অস্থায়ী গ্যারেজও। তবে মাছ ধরতে আসা সকলের অভিযোগ, মাছ না পাওয়ার। একের পর এক জাল ফেলেও কাক্সিক্ষত মাছ পাচ্ছেন না কেউই। দেশীয় প্রজাতির মাছ এক প্রকার বিলুপ্তির পথে। গত কয়েক বছর আগেও এই বাঁধে প্রচুর দেশীয় মাছ ধরা পড়ত কিন্তু এখন মাছ নেই। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম যাকারিয়া জানান, ১৯৮০ সালের দিকে বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। বাঁধটির সামনে একটি অভয়াশ্রম রয়েছে। প্রতিবছর বাঁধটি ছেড়ে দেওয়ার পর মাছ ধরার জন্য এখানে অনেক শৌখিন মাছ শিকারির সমাগম ঘটে। আমরা মনে করছি এর মাধ্যমে আমিষের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


Link copied