আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের রাজপ্রাসাদ !

শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর ০৪:৩১

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: চারতলা বিশিষ্ট ডুপ্লেক্স বাড়ি। সারি সারি আম-কাঁঠাল ও লিচুর বাগান। সঙ্গে গরু-ছাগল আর ভেড়ার খামার৷ পাশেই দুই তলা বিশিষ্ট দুটি বাড়ি। নিচে রাখা হয়েছে গাড়ি আর চারপাশে ধান ও সবজি ক্ষেতে সবুজের সমাহার৷ দৃষ্টি কাড়ানো এই রাজপ্রাসাদ ও খামার বাড়িটির মালিক নোয়াখালীর সন্তান পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ওবায়দুল হক৷ 

জানা যায়, ১০ বছর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে ২২ বিঘা জমি কেনেন ওবায়দুল হক৷ সেখানে গড়ে তুলেন ডুপ্লেক্স বাড়ি ও গবাদি পশুর খামার। খামারে ধান-সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করেন তিনি৷ পরে একই গ্রামের বারঢালি, কালমেঘ ও উপজেলার পাড়িয়া গ্রামে আরো ২০ বিঘা জমি কেনেন তিনি৷ বাড়ির নিচে অরক্ষিত রাখা গাড়িটির মালিকানা সরকারি।

মাঝেমধ্যে এই খামারবাড়িতে আসতেন এই কর্মকর্তা। স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা হলেই জিজ্ঞেস করতেন জমি বিক্রি করলে কেনার কথা৷ বিভিন্ন স্থানে এরকম আরো ১৭টি খামারবাড়ির গল্পও শোনাতেন তাদের। মূল ফটকের পাশে করেছিলেন বিদেশি কুকুর রাখার ঘর। পুলিশের দাপট আর কুকুরের ভয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি পড়শিরা৷ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এত সম্পদের আয় নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন তারা৷ 

স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, বাইরের কেউ ভিতরে যেতে পারতনা৷ গেটের সঙ্গে যে রুম সেখানে বিদেশি কুকুর রাখা হয়েছিল৷ চারতলা বাড়ি, বাগান, গরু- ছাগল আর ভেড়ার খামার আছে৷ এটা এলাকার মধ্যে পুরো মিনি রাজপ্রাসাদ বানিয়েছেন তিনি৷ একজন পুলিশের এত টাকার আয়ের উৎস কোথা থেকে এটা জানা বেশ জরুরি। আমরা এলাকাবাসী এটির সঠিক তদন্ত চাই৷ 

আরেক বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, আমি উনাকে চাকরির কথা জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন আমি পুলিশে চাকরি করি। দেখা হলেই বলতেন আশেপাশে কোনো জমি আছে নাকি৷ যত দাম হোক তিনি জমি কিনে নিতেন৷ একজন পুলিশের কর্মকর্তা হয়ে কিভাবে এত টাকা তিনি আয় করেন৷ আর পুরো রাজপ্রাসাদ করে ফেলেছে ভিতরে৷ মাঝেমধ্যে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এখানে আসতেন তিনি৷ 

তিনি আরো বলেন, মাসিক বেতনে চারজন ও নিয়মিত ৫-৮ জন শ্রমিক কাজ করেন এই খামারবাড়িতে। বেতনসহ বাড়িটির তত্বাবধানে রয়েছেন ম্যানেজার লিটন আহমেদ৷ মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে থাকেন তিনি৷ আগে প্রায় সময়ে আসলে এখন আর আসেন না তিনি৷ 

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ওবায়দুলের খামারবাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল লতিফ বলেন, আমি শুরুর দিকে এখানে চাকরি করতাম৷ তারপর বাদ দিয়ে আবার তিন মাস ধরে এখানে কাজ করছি। এটার মালিক ট্রাফিক পুলিশে চাকরি করে ওবায়দুল সাহেব৷ আমরা বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করলে বলে আমার বাড়ি ঢাকা। 

তিনি আরো বলেন, আমিসহ আরো তিনজন এখানে আছি৷ আমাদের মাসিক বেতনে রাখা হয়েছে। এসবের নিয়ন্ত্রণ করেন লিটন সাহেব নামে এক ম্যানেজার৷ মালিক দুই বছর আগে এসেছিলেন। এরপর আর আসেননি৷ 

মন্তব্য করুন


Link copied