আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫
রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

১১ অধ্যাদেশ ও ৩ প্রস্তাব অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ

১১ অধ্যাদেশ ও ৩ প্রস্তাব অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ

হত্যার পর মা-বাবাকে ঘরের ভেতরে পুঁতে রাখেন ছেলে

হত্যার পর মা-বাবাকে ঘরের ভেতরে পুঁতে রাখেন ছেলে

নীলফামারীতে মাদ্রাসার মোহতামিমকে পুণবহালের দাবি

সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪, দুপুর ০২:১৭

Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারী সদরের টেক্সটাইল আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিমকে (পরিচালক) পুণবহালের দাবি জানানো হয়েছে। এমন দাবিতে রবিবার(১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির একাংশসহ এলাকাবাসী। 
জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুস সামাদ শিকদার ওই স্মারকলিপি গ্রহন করেন।
জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোহতামিম মাওলানা আমিনুল্লাহকে জোর করে পদত্যাগ করোনোর অভিযোগ করা হয়। তিনি ৪২ বছল ধরে কর্মরত আছেন মাদ্রাসাটিতে।
স্মরকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সেদিন মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ইমামুল ইসলাম, আতাউল্লাহ এবং সাজিদুল ইসলাম কিছু ছাত্রকে উস্কে দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা মোহতামিম মাওলানা আমিনুল্লাহকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। এসময় তাকে একটি কক্ষে তিন ঘন্টা আটকে রেখে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। পরবর্তীতে সেই কাগজে তার পদত্যাগ লিখে নেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানার পর ওই মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হবিবর রহমান চৌধুরীকে ডেকে সকল সদস্যের উপস্থিতিতে সভা ডাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু সভাপতি কোন সভা ডাকেননি। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সভাপতিকে মাদ্রাসার বিভিন্ন সমস্যার অভিযোগ করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি।
তাদের অভিযোগ, সভাপতি মাদ্রাসাটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। সেটি থেকে পরিত্রাণে কমিটির বেশিরভাগ সদস্য ও স্থানীয়রা মাওলানা আমিনুল্লাহকে মোহতামিম হিসাবে পুণবহালের দাবি জানান।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আসাদুল হক শাহ্, আফতাব উদ্দিন সরকার টুকু, মাসুম কবিরাজ, মামুন বসুনিয়া, গোলাম রব্বানী, আবুল হোসেন, স্থানীয় ব্যক্তি আব্দুল হালিম খান, জাহিদুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য সিদ্দিক, ফয়সাল হুজুর, ভুট্টুসহ অনেকে।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য কমিটির সভাপতি হবিবর রহমান চৌধুরীকে পাওয়া যায়নি। তবে বর্তমান মোহতামিম (পরিচালক) মাওলানা মোহাম্মদ আলী বলেন,‘মাদ্রাসাটি কমিটির মাধ্যমে পরিচলিত হয়। পূর্বের মোহতামিম (পরিচালক) স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে চলে গেছেন। তিনি মাদ্রাসার কোনো আয় ব্যয়ের হিসাব দেন নি। চলে গিয়ে তিনি নানা ষড়যন্ত্র করছেন’।

মন্তব্য করুন


Link copied