বিনোদন ডেস্ক; আগামী ৬ ডিসেম্বর দেশজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দুই পর্দার নায়িকা মৌসুমী হামিদ অভিনীত ‘নয়া মানুষ’ সিনেমাটি। বানভাসি মানুষের গল্পে নির্মিত এ সিনেমাটি। চরের মেহনতী মানুষের জীবন ও প্রকৃতির খেয়ালিপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আ. মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালু চরে’ গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন সোহেল রানা বয়াতি।
সিনেমাটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী মৌসুমী হামিদ। সিনেমায় সুজলা চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। সিনেমাটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘চরের মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ সিনেমা। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাহিনী। আমিও তাদেরই একজন। চরের মধ্যে অনেক কষ্ট করে শূটিং করেছি। সারা দিন শূটিং করতে হয়েছে। চরের মধ্যেই থেকেছি। তবে একজন অভিনেত্রী হিসেবে কষ্টটা উপভোগ করেছি।’
তিনি আরও বলেন ‘এই সিনেমাটি আমাকে শক্তি জোগায়। নয়া মানুষের জার্নি আমার জীবনে কাজে লেগেছে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে।’ এ সিনেমাতে মৌসুমীর সঙ্গে আরও আছেন অভিনেতা রওনক হাসান। অভিনেতা বলেন, ‘এই কাজটা অসম্ভব কষ্ট করে করা। আমাদের সব কথা নয়া মানুষের মাধ্যমে বলা হয়েছে। যার জন্য সিনেমাটি দেখতে হবে। মানুষের চোখকেও সিনেমাটা আরাম দেবে।’ মৌসুমী হামিদের প্রশংসা করে এই অভিনেতা বলেন, ‘মৌসুমী চরের মানুষের সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। এতটা মিশে গিয়েছিল যে, কখনো ওকে (মৌসুমী) আলাদা মনে হয়নি। সিনেমাটির জন্য আমরা বিশাল যুদ্ধ করেছি। সবাই হলে এসে সিনেমাটি দেখবেন। বাংলা, মাটি ও মানুষের গল্প নয়া মানুষ।’ সিনেমাটি নিয়ে অনেক আশাবাদী জানিয়ে নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে আমার প্রথম সিনেমাটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। প্রথম সিনেমা নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকলেও প্রতিটি মুহূর্তে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। মাত্র ৩৭ হাজার টাকা নিয়ে এই সিনেমার শূটিংয়ের জন্য আউটডোর রওনা দেই।
একটা সময় টাকার অভাবে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে যখন সিনেমাটি নিয়ে হতাশ ছিলাম তখন জি-সিরিজের খালেদ ভাই হাল ধরেন। সবার সহযোগিতায় সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। এই সিনেমা মানুষের মনে দাগ কাটবে। নয়া মানুষ হওয়ার জন্য অনেকেই চাইবে।’ সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, ঝুনা চোধুরী, রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি ও শিশুশিল্পী ঊষশী প্রমুখ। ২০২২ সালের অক্টোবরে চলচ্চিত্রটির চিত্রধারণ শুরু হয়। কিন্তু সুপার সাইক্লোন সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে শূটিং সেট চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে আবার নতুন করে শুরু হয় চলচ্চিত্রটির কাজ, শেষ হয় ১২ এপ্রিল। পোস্ট প্রোডাকশন শেষ করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা হয় এবং ২ অক্টোবর সদস্যরা সিনেমাটি দেখে ২৩ অক্টোবর আনকাট সনদ নথিভুক্ত করেন।