লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ভর্তি পরীক্ষায় অসাধারণ প্রতিযোগিতার মধ্যেও প্রেরণার গল্পের মত একটি ঘটনা ঘটেছে। পা দিয়ে লিখে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় রফিকুল ইসলাম নামর এক পরীক্ষার্থী।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিএসএমআরএএইউ-এর লালমনিরহাট ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রামের এবং ঢাকার ক্যাম্পাসে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। দেশের একমাত্র এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি (বিএসএমআরএএইউ) হাজারো শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে ২০২৪ সালের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।
এতে চারটি বিভাগে মাত্র ১২০টি আসনের জন্য প্রতিযোগিতা ছিল তীব্র, যা এই প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান খ্যাতিকে প্রতিফলিত করে। সকাল ১০টা হতে পরীক্ষা শুরু হয়ে ১২টায় শেষ হয়।
শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই উচ্ছ্বাস এবং সংকল্প নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামগুলোর একটি আসন অর্জনের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের কঠোর নজরদারি এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় দিনের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
হাজার হাজার অংশগ্রহণকারীর মধ্যে রফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর গল্প সবার মন জয় করে। হাত না থাকা সত্ত্বেও তিনি তার পায়ের সাহায্যে পরীক্ষা দেন। তার দৃঢ়তা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা উপস্থিত সকলের প্রশংসা অর্জন করে এবং প্রমাণ করে যে কোনো বাধাই অদম্য মানসিকতার কাছে হার মানতে পারে।
“এই তরুণ আমাদের সবার জন্য একটি অনুপ্রেরণা,” মন্তব্য করেন একজন পরীক্ষক। “তার অদম্য মনোবল আমাদের মানব আত্মার শক্তির কথা মনে করিয়ে দেয়।”
বিএসএমআরএএইউ কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষায় এই বিশাল অংশগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও মেধার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে, যা ১২০ জন সৌভাগ্যবান শিক্ষার্থী নির্ধারণ করবে যারা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠানে তাদের একাডেমিক যাত্রা শুরু করবেন।
এই বছরের ভর্তি পরীক্ষা হাজারো শিক্ষার্থীর একাডেমিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছে এবং সাহস ও দৃঢ়তার গল্পগুলোকে আলোকিত করেছে, যা শিক্ষার রূপান্তরমূলক ক্ষমতাকে তুলে ধরে।
লালমনিরহাট ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এয়ার কমডোর মো. মঈনুল হাসনাইন, বিইউপি, এনডিসি, এএফডাব্লিউসি, পিএসসি পরীক্ষার সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করেন। পুরো কার্যক্রমটি অসাধারণভাবে তত্ত্বাবধান করেন অ্যারোস্পেস অনুষদের ডিন এয়ার কমোডর ফরহাদ হোসেন মাহমুদ, বিএসপি, বিপিপি, এএফডাব্লিউসি, পিএসসি।