বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে ওই দুই জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলম।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোপন তথ্য ছিলো টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান বিমানযোগে ঢাকায় পাচার করা হবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে ইয়াবার চালান বহনকারী তিন জনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় তারা।
এর মধ্যে জামিলার স্বামী আকতার হোসেন আগেই একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কৌশলগত কারণে আকতার হোসেনকে তখন আটক করা হয়নি। সে আলাদা ফ্লাইটে ঢাকা রওনার পর দুই বোনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। পরে তারা পেটে ইয়াবা বহনের তথ্য স্বীকার করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, দুই বোনকে আটকের পরে একটি প্যাথলজি সেন্টারের ল্যাবে গিয়ে এক্সরে করা হয়। এতে তাদের পেটে ইয়াবার চালান থাকার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়।
দিদারুল আলম জানান, আটক দুই বোনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে নিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ইয়াবা বের করার কার্যক্রম শুরু করা হয়। দুপুর দুইটা পর্যন্ত এক হাজার ৭০০টির বেশি ইয়াবা বের করা হয়।