আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

বগুড়ায় ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫, বিকাল ০৭:৩৬

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: বগুড়ার সদর উপজেলায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই এলাকার আনোয়ারা বেগম (৫৮) ও তার মেয়ে ছকিনা বেগম (৩৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম স্বামীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পর ছয় বছর আগে হাসনাপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়ার সঙ্গে ছকিনার বিয়ে হয়। এরপর ছকিনা তার প্রথম পক্ষের সন্তান সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে বগুড়া শহরের আকাশ তারা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। রুবেল মাদকাসক্ত এবং চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় ছকিনা তাকে তালাক দেন। এরপর ছকিনা তার মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসে আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এক বছর আগে রুবেলের অনুরোধে ছকিনা আবারও তার সংসারে ফিরে যায়। কিন্তু রুবেল তার স্বভাব পরিবর্তন না করায় ছয় মাস আগে আবারও দুইজনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

এদিকে মা-মেয়ে সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় দুই শতাংশ জায়গা কিনে সেখানে টিনের বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। একমাস আগে ছকিনা তার প্রথম স্বামী বাদশা মিয়াকে আবার বিয়ে করেন। বাদশা মিয়া তার গ্রামের বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। রুবেল এ খবর জানতে পেরে ছকিনার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে রুবেল বাড়িতে গিয়ে ছকিনাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। তাকে ছেড়ে দিয়ে প্রথম স্বামীকে বিয়ে করার জন্য তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে সঙ্গে নিয়ে আসা রাম দা দিয়ে ছকিনাকে কোপানো শুরু করেন রুবেল। এ সময় আনোয়ারা বেগম মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে রুবেল পালিয়ে যান রুবেল ।

পরে দুইজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত দেড়টার দিকে ছকিনা মারা যান। পরে শনিবার (১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ছকিনার মা আনোয়ারা বেগমও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বগুড়া নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় থেকে রক্ত মাখা রামদাটি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। নিহত মা-মেয়ের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন


Link copied