আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

♦ যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রেও
♦ নির্বাচনে আগ্রহীরা ঘুরছেন এলাকায়
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

আদালতে তোলার সময় ‘ধর্ষক’কে গণধোলাই, জেল হাজতে পাঠালেন বিচারক

রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ০১:৪০

Advertisement Advertisement

 ঠাকুরগাও প্রতিনিধি :  রোববার (৯ মার্চ) সকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

 
এর আগে আদালতে তোলার সময় ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আসামি মানিককে দেখেই উৎসুত জনতা গণধোলাই দেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
 
অন্যদিকে অভিযুক্ত ধর্ষকের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে ছাত্রজনতার ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
 
এসময় তারা দাবি তুলেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করে। 
 
তাদের শান্ত করতে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা শিক্ষার্থীদের আশস্ত করে জানান, কোনোভাবেই যেন অপরাধী আইনের ফাঁক দিয়ে বের না হতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। প্রমাণিত হলে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে অপরাধীর।
 
 
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে ঘটনার দিন রাতেই সদরের ভুল্লী থানায় শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
 
উল্লেখ্য, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সত্ত্বেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। এ সময় সুযোগ বুঝে একটি কক্ষে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর ধর্ষণ করে পালিয়ে যান শিক্ষক।
 
পরবর্তীতে শিশুটির চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় এগিয়ে আসার আগেই ওই শিক্ষকের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা শহরের সেবা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসে। গোপনে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করার কথা জানতে পেরে সংবাদকর্মীরা ছুটে গেলে দ্রুত সময়ে শিশুটি জেনারেল হাসপাতালে হস্তান্তর করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
 
অভিযোগ রয়েছে এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে অনৈতিক কাজের চিকিৎসা দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয় জড়িতরা। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীর স্বজনরা এসে মেয়েটিকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।

মন্তব্য করুন


Link copied