নিউজ ডেস্ক: কী সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে? আওয়ামী লীগকে কি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে? এমন সব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাইরে অপেক্ষমাণ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে। কারও কাছেই এর সঠিক উত্তর জানা নেই। কেউ বলছেন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে। কেউ বলছেন এখন আওয়ামী লীগকে নয়, আপাতত যুবলীগ কিংবা স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আগেই জানানো হয়েছিল শনিবার (১০ মে) রাত ৮টায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক এবং সাড়ে ৮টায় যমুনার বাইরে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যান্য দিন প্রেস ব্রিফিংয়ের ঘণ্টাখানেক আগে থেকে দু-একজন করে গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত হতে থাকলেও আজ (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই কানায় কানায় আসন পূর্ণ হয়ে যায়। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা তখন থেকেই নিউজ বুলেটিনে যুক্ত হয়ে লাইভে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রেস ব্রিফিং শুরু হতে পারে এমনটি জানান।
তখন সময় প্রায় সাড়ে ৮টা। সবাই প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার ফটকের দিকে তাকিয়ে ভাবছেন- এই বুঝি প্রেস ব্রিফিংয়ের জন্য উপদেষ্টারা আসছেন!
এমন সময় উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ আসেন। সবাই মনে করেন কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্রিফিং শুরু হবে। কিন্তু উপ-প্রেস সচিব জানান, আপনাদের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া অন্য কেউ যেন না থাকে সে বিষয়টি আপনারা খেয়াল রাখবেন।
এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের অপেক্ষা করতে বলেন। ভেতরে তখন মিটিং শুরু হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রথমে মিটিং শুরু হয়েছে বললেও পরক্ষণেই বলেন, আমি কিছু জানি না। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের আবার অপেক্ষার অনুরোধ জানিয়ে ভেতরে চলে যান। অপেক্ষায় থাকেন গণমাধ্যম কর্মীরা।
যমুনা ও এর আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে