আর্কাইভ  বুধবার ● ১৪ মে ২০২৫ ● ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ১৪ মে ২০২৫
কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা ট্রাম্পের

কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

বল এখন ভারতের কোর্টে: পাকিস্তান

যুদ্ধের দামামা
বল এখন ভারতের কোর্টে: পাকিস্তান

যৌন হয়রানি ও মার্ক টেম্পারিংয়ের অভিযোগ

এখনো বিভাগীয় প্রধান সেই শিক্ষক, তদন্ত বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশংকা

মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, রাত ১০:১৫

Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার: যৌন হয়রানি ও মার্ক টেম্পারিংয়ের বিতর্কের মুখে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)  রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিউল ইসলাম জীবন এর বিরুদ্ধে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। 

যৌন হয়রানি ও মার্ক টেম্পারিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. তানজিউল ইসলাম জীবন এখনো রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদ আঁকড়ে ধরে আছেন। বিভাগীয় প্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন ডিপার্টমেন্টের অনেক শিক্ষার্থীরা। বিভাগীয় প্রধানের পদে থাকায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না অনেক শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে তার পক্ষে স্টেটমেন্ট দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন। 

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তানজিউল ইসলাম জীবনের নীতিগতভাবে এই পদে থাকা উচিত নয়। তার উচিত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়ানো। অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত তাকে সরিয়ে দিয়ে তদন্তের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। 

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. তানজিউল ইসলাম জীবন বেশ কিছুদিন ধরে ডিপার্টমেন্টে আসছেন না বলে জানাগেছে। তিনি বাসায় বসে দাফতরিক কাজ করছেন। এতে করে বিভাগের কাজকর্মও স্থবির হয়ে পরছে। 


উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল রাতে এই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পর পর তিনটি অডিও ফাঁস হলে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। 
 
শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা আমলে নেয়নি। তারা সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। পরে 'সাদিয়া সুভা' ছদ্মনামে একটি অভিযোগ দিলেও সেটি প্রশাসন অমলে নেয়নি। 
 
সর্বশেষ গত ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের ই-মেইলে একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক মানসিক নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন, যৌন হয়রানি এবং মার্ক টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল খারাপ করার অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন।
 
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানি ও মার্ক টেম্পারিংয়ের বিচার দাবিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের প্রতীকী জুতার মালা পড়িয়ে কুশপুত্তলিকা জুতা পিটা এবং  রাতে মশাল মিছিল করেন। "  

মন্তব্য করুন


Link copied