বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আবাসিক হলে সিট বাণিজ্য, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এহতেরামুল হক।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিন্ডিকেটের ১০৮তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। কেননা, বিগত ‘জুলাই বিপ্লব’-এ শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করা। সেই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় সকল ধরনের লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও যদি কেউ কোনো ব্যানার ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করে কিংবা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সিট বাণিজ্য, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কাজে যুক্ত হয়—তাহলে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিলের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।
এ ছাড়া, এসব কর্মকাণ্ড দমন ও সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ক্যাম্পাসে একটি নিরাপদ, শিক্ষাবান্ধব ও শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা।