নিউজ ডেস্ক: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার ‘কঠোর প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল আমির হাতেমি।
সোমবার (২৩ জুন) সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ভিডিও বার্তায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বলেন, ইতিহাসে আমরা অনেকবার আমেরিকার মুখোমুখি হয়েছি। যখনই তারা আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করেছে, তখনই তারা কঠোর প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা লড়বো, সুখের জন্য লড়বো। আমাদের অনেক শহীদ হয়েছে, কিন্তু আমরা শক্তি ও সাহসের সাথে লড়বো। আমাদের শক্তি সম্পর্কে তাদের নিশ্চিত থাকা উচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশোধের দরজা খুলে দিয়েছে। আমরা কখনই পিছু হটব না।
এদিকে, সশস্ত্র বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের মুখপাত্র ইব্রাহিম জোলফাকারি সতর্ক করে বলেছেন, শক্তিশালী এবং লক্ষ্যবস্তুতে পরিচালিত অভিযানের মাধ্যমে এর জবাব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ট্রাম্প এই যুদ্ধ শুরু করতে পারে, কিন্তু আমরাই এর শেষ করবো।উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার উসকানি ছাড়াই গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৪০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। চলমান এই সংঘাতের মধ্যে ২১ জুন দিনগত রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।