স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ কানাডায় লোক পাঠানোর কথা বলে ভুয়া ট্রাভেল এজেন্সির নামে চালায় প্রচারণা। মানুষকে আকৃষ্ট করতে প্রচারণায় ব্যবহার করা হয় বিদেশের বিভিন্ন স্থানের ছবি। কেউ সাড়া দিলেই ইমোর মাধ্যমে স্থাপন করা হয় নিবির যোগাযোগ। ভুয়া জব অফার লেটার, ডিমান্ড লেটার, ওয়ার্ক পারমিটসহ কানাডিয়ান লেবার কাউন্সিলের অনুমোদন পর্যন্ত ধরিয়ে দেওয়া হয় হাতে। ধাপে ধাপে এসব কাজের মাধ্যমে বিশ্বাস স্থাপন করে কানাডার ভিসা দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয় টাকা। এরপর থেকে থেমে যায় যোগাযোগ। এমন একটি ভিসা প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নীলফামারী ডিবি পুলিশ।
সোমবার(২৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নীলফামারী ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুল কাদের।
গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মুসরত পানিয়ালপুকুর গ্রামের মো. কহিনুরের দুই ছেলে মো. রাজু (২৬) ও মো. রুজু (১৯), মো. মনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. সাকিল (২৫), একই উপজেলার মুসরত বটতলা গ্রামের মৃত মুকুলের ছেলে আল আমিন (২০)। এদিন বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুল কাদের জানান, ওই প্রতারক চক্রের প্রতারণার শিকার হয়েছেন শরিয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামের মো. নয়ন (২৯)। তিনি ওই গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন ছৈয়ালের ছেলে। বিভিন্ন দফায় বিকাশ লেনদেনের মাধ্যমে ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার(২২ জুন) দিনব্যাপী নীলফামারী ডিবি পুলিশ কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ভিসা প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ছয়টি এনড্রয়েড ফোন ও তিনটি বাটন ফোন উদ্ধার হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে তাদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
প্রতারণার শিকার মো. নয়নের অভিযোগ মতে, নবীন ভিলেজ এন্ড ট্রাভেলস নামে এজেন্সির বিজ্ঞাপন দেখে কানাডায় যাওয়ার জন্য আগ্রহী হন তিনি। এজন্য ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জ্ঞিাপনের নিচে থাকা ইমো নম্বরে যোগাযোগ করেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে তার সঙ্গে চক্রটি যোগাযোগ করে বিশ্বাস স্থাপন করে। এমন বিশ্বাসে কানাডার ভিসা দেওয়ার কথা বলে বিকাশ লেনদেনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুল কাদের বলেন, আমরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। গত দুই মাসে চক্রটির ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।