আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৭ জুন ২০২৫ ● ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৭ জুন ২০২৫
ইরান কখনও আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি

ইরান কখনও আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে যেভাবে উসকে দিচ্ছে সমরাস্ত্রের ব্যবসা

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে যেভাবে উসকে দিচ্ছে সমরাস্ত্রের ব্যবসা

ইসরায়েলি হামলায় ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীসহ পরিবারের ১১ সদস্য নিহত

ইসরায়েলি হামলায় ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীসহ পরিবারের ১১ সদস্য নিহত

ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস না হওয়ার খবর আবারও নাকচ করলেন ট্রাম্প

ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস না হওয়ার খবর আবারও নাকচ করলেন ট্রাম্প

দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, এটা একদম ফালতু কথা: প্রেস সচিব

বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, রাত ০৯:২১

Ad

নিউজ ডেস্ক:  প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, কেউ যদি বলেন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, এটা একদম ফালতু কথা। বাংলাদেশের সাংবাদিকতা এতই স্বাধীন যে উন্নত বিশ্বেও এত স্বাধীনতা নেই। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সেমিনারের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

প্রেস সচিব বলেন, কেউ যদি বলেন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, এটা একদম ফালতু কথা। বাংলাদেশের সাংবাদিকতা এতই স্বাধীন যে উন্নত বিশ্বেও এত স্বাধীনতা নেই। মানুষ এখন ভিডিও দেখে সংবাদ গ্রহণ করছে। এই ভিডিও বেশিরভাগই অলস সাংবাদিকতায় করা, মিথ্যায় ভরপুর। 

সারাদিন ধরে কিছু কিছু টকশোতে অলস সাংবাদিকরা মিথ্যা কথা বলছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা অপসাংবাদিকতা হলেও এক ধরনের সাংবাদিকতা। এটা করার ফলে মানুষ পত্রিকা পড়ছে না তো। আমেরিকায় দেখেন, সোশ্যাল মিডিয়া সংবাদের সবচেয়ে বড় উৎস, বাংলাদেশেও এটা হচ্ছে। মানুষ ওটা গ্রহণ করছে। এটাকে কীভাবে মনিটর করবেন! আমার নামে যা তা বলছে, উপদেষ্টাদের নামে যা তা লিখছে, নোংরামির তো একটা সীমা আছে। কিন্তু আমি যদি বলি—যেটা করছেন সেটা অন্যায়। আপনি আমার নামে ৪০ মিনিটের একটি ভিডিও বানিয়েছেন, তার মধ্যে ৩২০টা মিথ্যা আছে। আপনি বলবেন—আমার ওপর প্রেসার হচ্ছে, সরকার আমাকে টার্গেট করেছে, তারপর আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি জার্নালিস্ট প্রটেকশন অর্ডিন্যান্স দরকার আছে। একই সময়ে আপনার অপসাংবাদিকতার দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের কীভাবে সুরক্ষা দেবেন। তার সুরক্ষাও তো আপনার চিন্তা করা উচিত। একজন সচিবের নামে যে মিথ্যা একটা নিউজ করা হলো, এই নিউজের স্থায়িত্ব হয়ে গেছে অনন্তকাল। ১০০ বছর ধরে, উনি যখন ওনার ছেলে, ওনার নাতি গুগলে সার্চ করলে দেখবে, নিউজটা আসছে। তার নামে এই মিথ্যা নিউজের সমাধান কি দেবেন না? পশ্চিমা বিশ্বে তো এর মডেল আছে, তারা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে জরিমানা দিয়ে। ফালতু কথা বলে একজনের নামে পার পেয়ে যাবেন, সরকারি কর্মকর্তা হলে কিছু সুরক্ষা কম, কিন্তু আরেকজনের নামে মিথ্যা কথা বলে পার পেয়ে যাবেন—বিদেশে, যুক্তরাজ্যে এটা চিন্তাও করতে পারবেন না। আপনাকে মিলিয়ন পাউন্ডের জরিমানা দিতে হবে। আমাদের এখানে তো এ ব্যবস্থা নেই। এখানে যে যা ইচ্ছা বলে দিতে পারে। আমি যখন দায়িত্বের ওই পাড়ে ছিলাম, তখন এটা অনুভব করিনি। এখন এসে দেখছি যে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠান-প্রধান, তাদের ন্যূনতম কোনও সুরক্ষা নেই। তার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা লেখা যায়।

মন্তব্য করুন


Link copied