নিউজ ডেস্ক: রোববার (৬ জুলাই) সকালে নারায়গঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকায় জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শিশু রিয়া গোপের বাসায় যান শারমিন মুরশিদ। উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘আমরা পুরো মাসটিকে ডেডিকেট করেছি এই জুলাই আন্দোলনের ওপর। যারা চলে গেছে, তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে এটা বলা— "আমরা তোমাদের ভুলিনি এবং ভুলব না’। তোমরা যে আত্মত্যাগ করে গেলে, যে ক্ষতি তোমাদের হয়েছে, সেটার জন্য রাষ্ট্র সর্বোচ্চটা করবে। এ দেশের মানুষও তাদের স্মরণে রাখবে। এটা যেন আমাদের মননে থাকে, বয়ানে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘পুরো জুলাই মাস জুড়ে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের খোঁজ খবর নেয়ার মাধ্যমে শদীদদের পরিবারকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে রাষ্ট্র তাদের পাশে রয়েছে। জুলাই আন্দোলনকারিদের আত্মত্যাগে তাদের পরিবারগুলোর যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে রাষ্ট্র সার্বিকভাবে তাদের সহযোগিতা করবে এবং জাতিও তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণে রাখবে।’
উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ আরও বলেন, "দেশ ও জাতি যাতে শহীদদের আত্মত্যাগের চেতনাকে ধারণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি দেশের নারী ও শিশুরা যাতে নিরাপদ বাংলাদেশে বসবাস করতে পারেন সেই লক্ষ্যে আমরা সমাজকে পুনর্গঠন করার নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। শিশু রিয়া গোপের নামে একটি স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে মানুষ "রিয়া গোপ" এর ইতিহাস জানতে পারবে।’
উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ শহীদ রিয়া গোপের বাসায় গিয়ে তার মাকে বুকে জড়িয়ে নেন। এসময় কান্না ভেঙে পড়েন একমাত্র সন্তান হারানো মা বিউটি ঘোষ। পরে উপদেষ্টা রিয়ার মাকে নানাভাবে সান্ত্বনা ও আশ্বাস দেন।
এসময় শহীদ রিপা গোপের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শেষে উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ সিদ্ধিরগঞ্জে নিহত নারী সুমাইয়া আক্তার শিমুর বাসায় গিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলেন। তাদের পাশে থাকাসহ সব ধরণের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।