তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় সয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও সেবা না দেয়ার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা পরিষদের সব কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে ওই ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক। জনপ্রতিনিধি হয়েও তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিষদে নিয়মিত উপস্থিত না থেকে চিকিৎসা পেশা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
ঘটনার দিন মৃত্যু সনদসহ বিভিন্ন সেবা নিতে আসা লোকজন পরিষদে এসে কাউকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। পরে তারা পরিষদের সব কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। পরে এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে সেখানে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন ছুটে যান এবং প্রতিবাদে সংহতি জানান।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তারাগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুসা আলম বলেন, “ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। এখন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাচ্ছি না। সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে বসে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট বলেন, "আমি এবং কয়েকজন ইউপি সদস্য একজন সংরক্ষিত নারী সদস্যের বাড়ির কুলখানিতে দাওয়াতে গিয়েছিলাম।"
চেয়ারম্যান পাইলট আরও দাবি করেন, "আজকের ঘটনাটি পরিকল্পিত উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যেসব সংগঠন এর সঙ্গে জড়িত, তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি সেবা পেয়েছে। আরও সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।"
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুবেল রানা বলেন, "আমি মোবাইলে ঘটনাটি জানতে পারি এবং পরে এনসিপিসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আমার কার্যালয়ে এসেছিলো। ইউনিয়ন পরিষদ একটি সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এখানে তালা লাগানো বে-আইনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তালা খুলে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি।