নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনে শহীদদের ‘প্রকৃত ও নির্ভরযোগ্য’ তালিকা করে তা গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ ও ওয়াসিমসহ অন্যদের কেন ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না–তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সোমবার এ বিষয়ে রুল জারি করে।
আন্দোলনে শহীদদের ‘প্রকৃত ও নির্ভরযোগ্য’ তালিকা করে তা গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা, চব্বিশের অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ ও তাদের জাতীয় শহীদ হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ইমদাদুল হক গত ফেব্রুয়ারি মাসে এ রিট আবেদন করেন।
রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
পরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের হাল ধরার জন্য সাহস করে এগিয়ে এসেছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় আসার পর উনি বলেছেন, দেশটাকে বিনির্মাণ করে নতুন রাষ্ট্র গঠনে সংস্কারের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
“সে লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছেন। উনি নিজেই বলেছেন মালয়েশিয়া বা অন্যান্য উন্নত জাতির সঙ্গে তুলনা করার জন্য কাজ করতে চান।”
একমাত্র ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ছাড়া ‘সবাই’ ইউনূসকে সমর্থন করেছে মন্তব্য করে এ আইনজীবী বলেন, “মতামত নিয়েই সংস্কার কমিশন গঠন করে উনি (অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) সংস্কার কাজে হাত দিয়েছেন। ইতিমধ্যে অনেক সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেছেন। তার সংস্কারের বিষয়গুলোতে একমত পোষণ করে তাকে আমরা জাতীয় সংস্কারক হিসেবে ঘোষণা চেয়ে রিটটি করেছি।
“একই সঙ্গে যারা অভ্যুত্থানে নিহত, আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ অন্যদের জাতীয় শহীদ হিসেবে ঘোষণা চাওয়া হয়। হাই কোর্ট শুনানি নিয়ে ওই রুল দিয়েছেন।”