মমিনুল ইসলাম রিপন: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জুলাই শহীদ দিবসের আলোচনা সভার মঞ্চে শহিদ আবু সাঈদের পরিবারসহ অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যরা সভার মঞ্চে বসলেও দর্শক সারিতে বসেছেন অতিথিরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জুলাই শহিদ দিবসের আলোচনা সভা শুরু হয়। সভা অনুষ্ঠানের দর্শক সারিতে আসন গ্রহণ করেন আইন উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. তানজীমউদ্দীন খান।

অন্যদিকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভার মঞ্চে আসন গ্রহণ করেছেন। জুলাই শহীদ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আসন গ্রহণ করেছেন শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে রংপুরের বিভিন্ন এলাকার শহীদ ২২ পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলীর নেতৃত্বে প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭ টায় পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে কালো ব্যাজ ধারণ করেন তারা। এরপর ক্যাম্পাসের দক্ষিণ গেট থেকে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে শোক র্যালী বের হয়। র্যালিটি নগরীর মডার্ণ মোড় হয়ে শহিদ আবু সাঈদ গেটে গিয়ে শেষ হয়। পরে অতিথিবৃন্দ জুলাই আন্দোলনের প্রধম শহিদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদত বার্ষিকীতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়াম এবং শহিদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এদিকে বিকেলে জুলাই শহিদ উপলক্ষে বিকেলে ক্যাম্পাসের ভিতরে ক্যাফেটেরিয়ায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বিকেল সাড়ে ৫ টায় দোয়া এবং মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।