নিউজ ডেস্ক: ডা. তাসনিম জারা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব। সেইসঙ্গে তিনি রাজবাড়ীর সন্তান এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহর স্ত্রী। সেই সুবাদে রাজবাড়ীর পুত্রবধূ তাসনিম জারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে রাজবাড়ী জেলা শহরের রেলগেটে এনসিপির দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তাসনিম জারার বক্তব্যের আগে ‘ভাবি ভাবি’ বলে ওঠেন সবাই। তখন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম স্লোগান দেন ‘আমাদের সেরা কোনো ভাবি আছে? অক্সফোর্ডের কোনো ভাবি আছে? মেডিকেলের কোনো ভাবি আছে? সেই ভাবি, জোরে বলো, আরও জোরে, সবার সেরা রাজবাড়ীর জারা ভাবি’।
ডা. তাসনিম জারা তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি রাজবাড়ীর পুত্রবধূ। সে সুবাদে রাজবাড়ীতে আমার আসা যাওয়া আছে। রাজবাড়ী ভালো মানুষের এলাকা এবং রাজবাড়ী সব কিছু থেকে বঞ্চিত। এখানে ভালো হাসপাতাল নেই। আমি আপনাদের সদর হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেখানে দেখেছি রোগীদের কত ভোগান্তি। এখানে ফ্যাসিলিটি যেমন ভালো না, তেমনি অব্যবস্থাপনাও অনেক। পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই, ওষুধ ৫টা লিখলে ৩টাই বাইরের থেকে কিনতে হয়। সরকারি হাসপাতালে দুপুর পর্যন্ত টেস্ট করা হয়। তারপর বাইরে থেকে বেশি টাকা দিয়ে টেস্ট করতে হয়। কারও যদি স্ট্রোক বা অ্যাক্সিডেন্ট হয়, তাহলে এখানে কোনো চিকিৎসা নেই। চিকিৎসা করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করে যেতে হয় ফরিদপুর বা ঢাকায়। ফলে অনেক সময় রাস্তায় রোগী মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫৪ বছরের বাংলাদেশে আমরা এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাই না। জরুরি প্রয়োজনে মানুষের চিকিৎসা যখন প্রয়োজন, তখনই শুরু হবে, হাসপাতাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। অ্যাম্বুলেন্সে যেতে যেতে যেন চিকিৎসা পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা আমাদের সরকারিভাবে করা প্রয়োজন। আমরা সেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাই যেখানে চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যাবে না।’
পথসভায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জুলাই বীর যোদ্ধাদের গাড়িবহর জেলা শহরের বড়পুল এলাকায় এলে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে সেখান থেকে একটি পদযাত্রা করে তারা পথসভাস্থলে আসেন।