নিউজ ডেস্ক: ‘ঢাকা যখন আগুনে পুড়ছে, সেখানে আওয়ামী লীগ আসছে আলু পোড়া দিয়ে খেতে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বুধবার বিকেল কুমিল্লায় দলের পদযাত্রা শেষে টাউন হল মাঠে সমাবেশে বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিএনপি করেন সমস্যা নাই। জামায়াত করেন সমস্যা নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাথে সখ্যতা মেনে নেব না। কুমিল্লায় বিএনপিকে নিপীড়ন করা হয়েছে, জামায়াতকে নিপীড়ন করা হয়েছে। তাই সবাইকে ওদাত্ত আহ্বান জানাব- বাংলাদেশের স্বার্থ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তদন্ত হতে হবে, এমন অচল যুদ্ধবিমান দিয়ে প্রশিক্ষণ কেন। জবাবদিহি করতে হবে, কেন শিক্ষকদের আবার নির্যাতন করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা নিয়ে যে বিভ্রান্তি রয়েছে– তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা নিহত হয়েছে, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আর যারা আহত রয়েছে তাদের চিকিৎসা দাবি করছি।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশের শুরুতে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে এক নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, যুবশক্তির কেন্দ্রীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম, কুমিল্লা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায় নাভিদ নওরোজ, কেন্দ্রীয় সদস্য হাফসা জাহানসহ অন্যান্যরা।
এই সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিনসহ অন্যান্য নেতারা।
সমাবেশের আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে পদুয়ার বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে কুমিল্লার বাসিন্দা জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ৩০ জন শহীদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেন দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। পরে কুমিল্লা নগরী টমছম ব্রিজ থেকে শুরু করে শোকাবহ পদযাত্রায় অংশ নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ও কুমিল্লার নেতাকর্মী সমর্থকরা হেঁটে কুমিল্লা টাউন হলে পৌঁছান।