আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫ ● ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য

রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান
রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ আজ, দিনব্যাপী যত আয়োজন

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ আজ, দিনব্যাপী যত আয়োজন

গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মঞ্চ

গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মঞ্চ

জুলাইয়ের পক্ষ নেওয়ায় জনকণ্ঠের ২০ সাংবাদিককে অব্যাহতি, কর্মবিরতি চলছে

রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, রাত ১২:৫৬

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: জুলাইয়ের পক্ষ নেওয়ায় ২০ সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছে জনকণ্ঠ। এর প্রতিবাদে পত্রিকাটির সব বিভাগের সাংবাদিক, কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করছেন।  

অব্যাহতি পাওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে প্ল্যানিং এডিটর জয়নাল আবেদীন শিশির, অ্যাডভাইজার (অনলাইন) সাবরিনা বিনতে আহমেদ, ডেপুটি চিফ রিপোর্টার ইস্রাফিল ফরায়েজী, অনলাইন চিফ ফুয়াদ হাসান, ডিজিটাল প্রধান নুরুজ্জামান, সিনিয়র রিপোর্টার আবদুর রহিম, সিকিউরিটি ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আহমেদ রয়েছেন।  

জানা যায়, স্বৈরাচারের দোসর জনকণ্ঠ পত্রিকা আগস্ট উপলক্ষে পহেলা আগস্ট কালো রঙ ধারণ করেছিল। সম্পাদক শামিমা এ খান আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে পত্রিকার ফেসবুক এবং অনলাইনকে কালো রং করার নির্দেশ দেন। ১ আগস্ট রাত ১২টার পর থেকে ফেসবুকের সব ফটো কার্ডকে কালো করা হয়। তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ জানায় জনকণ্ঠের অন্তত অর্ধশত সাংবাদিক-কর্মচারী। এ নিয়ে কোনো কারণ ছাড়া শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে ২০ সাংবাদিক-কর্মচারীকে অব্যাহতির নোটিশ দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে পত্রিকার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি চলছে।

চাকরিচ্যুতির কারণ না জানানো পর্যন্ত কোনো ধরনের কার্যক্রম চলবে না বলে জানিয়েছেন পত্রিকাটির সাংবাদিকরা।

পত্রিকার অ্যাডভাইজার (অনলাইন) সাবরিনা বিনতে আহমেদ বলেন, কী কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তার কারণ জানানো হয়নি। আমরা এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেব।

ডেপুটি চিফ রিপোর্টার ইস্রাফিল ফরায়েজী বলেন, অব্যাহতির কারণ সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জনকণ্ঠের সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।

প্ল্যানিং এডিটর জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এ পত্রিকায় যুক্ত হই। এরপর পত্রিকার রিপোর্টিংসহ অনলাইন গ্রুপে দেখতে পাই রহস্যজনক কিছু অজানা নাম। এবং তারাই পত্রিকাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। নাম্বারগুলো সব বিদেশি। আওয়ামী লীগের পক্ষে নানা ধরনের নির্দেশনা দেন। প্রকৃতপক্ষে ওই ব্যক্তি কারা কেউ জানে না। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাবো কারা বিদেশ থেকে এই পত্রিকাকে পরিচালনার নির্দেশনা দেন তা খুঁজে বের করতে।

সিনিয়র রিপোর্টার আবদুর রহিম বলেন, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার পর সম্পাদক শামীমা এ খান আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে পত্রিকার অনলাইন এবং ফেসবুককে কালো করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি রাত ১২টার পর জনকণ্ঠের ভেরিফাইড ফেসবুক এবং সকল ফটো কার্ডকে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করেন। সারাদিন যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনা চলে তখন আমি বিকাল ৫টায় সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলি। উনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন ফেসবুকের রং কালোই থাকবে প্রয়োজনে চাকরি ছেড়ে দিতে।

মন্তব্য করুন


Link copied