নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আবারও ফিরছে খেলোয়াড়দের নিলাম ব্যবস্থা। প্রথম দুই আসরে নিলাম হলেও এরপর থেকে প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাধ্যমে দল গঠন করা হতো।
আসন্ন মৌসুমে আবারও সেই পুরনো নিয়মে দল সাজাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। নিলামে একে একে খেলোয়াড়দের নাম তোলা হবে, আর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি চাইলে সেই খেলোয়াড়ের জন্য বিড করবে। একাধিক দল আগ্রহ দেখালে বিডিং চলবে যতক্ষণ না কোনো দল 'সোল্ড' ঘোষণা শুনে সেই খেলোয়াড়কে দলে নিতে পারে। দেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে ছয়টি ক্যাটাগরিতে। এ থেকে এফ পর্যন্ত, সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ এবং সর্বনিম্ন ১১ লাখ টাকা।
প্রতি বিডে খেলোয়াড়ের দাম ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়বে। বিদেশিদের ক্ষেত্রেও থাকবে পাঁচটি ক্যাটাগরি। এ থেকে ই পর্যন্ত, সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্য ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ন ১০ হাজার ডলার। প্রতি বিডে দাম বাড়বে ১ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। প্রতিটি দলকে ন্যূনতম ১৩ জন এবং সর্বোচ্চ ১৬ জন দেশি খেলোয়াড় নিতে হবে নিলাম থেকে। খরচের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বিদেশিদের জন্য সর্বোচ্চ ব্যয় সীমা সাড়ে ৩ লাখ ডলার, যার মধ্যে দুইজন ডিরেক্ট সাইনিংয়ের পারিশ্রমিকও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। নিলামের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দুইজন দেশি ও দুইজন বিদেশি ক্রিকেটারকে সরাসরি দলে টানতে পারবে।
একাদশে ন্যূনতম ২ এবং সর্বোচ্চ ৪ জন বিদেশি খেলানো যাবে। চুক্তির সময়ই খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ২৫ শতাংশ দিতে হবে। লিগ পর্বের আগে ৫০ শতাংশ, বাকি ২৫ শতাংশ টুর্নামেন্ট শেষের ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
নিলাম শেষে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলগুলোকে নিজেদের স্কোয়াড জমা দিতে হবে। কোনো খেলোয়াড় দলভুক্ত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে হবে এবং অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেই অংশ নিতে হবে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের আশা, নিলাম ব্যবস্থার ফিরিয়ে আনা খেলোয়াড়দের প্রকৃত বাজারমূল্য নির্ধারণ ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর প্রতিযোগিতা আরও রোমাঞ্চকর করে তুলবে।