আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫
রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

১১ অধ্যাদেশ ও ৩ প্রস্তাব অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ

১১ অধ্যাদেশ ও ৩ প্রস্তাব অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ

হত্যার পর মা-বাবাকে ঘরের ভেতরে পুঁতে রাখেন ছেলে

হত্যার পর মা-বাবাকে ঘরের ভেতরে পুঁতে রাখেন ছেলে

এবার স্কুলের ইট চুরি করলেন সেই আ.লীগ নেতা

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, রাত ০৮:৩০

Advertisement

নিলফামারি প্রতিনিধি :  নীলফামারীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ বছরের ছেলের মাধ্যমে ভোট দিয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুর রহমান রাশেদ। এবার একটি বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়ালের ইট চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন তিনি। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে উপজেলাজুড়ে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বাউন্ডারি ওয়ালের প্রায় ২০ হাজার ইট ট্রলিতে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তা আটকে দেন। পরে সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ। রাশেদুর রহমান রাশেদ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। তিনি কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয় ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে ফেলা হয়। পরে সেই ইটগুলো বিদ্যালয়ের মাঠেই স্তূপ করে রাখা হয়। সেখান থেকে ট্রলি গাড়িতে উঠিয়ে গোপনে নিজের শ্বশুরবাড়িতে কয়েক হাজার ইট নিয়ে যান রাশেদ। এতে সহযোগিতা করেন ওই বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস। আজ সকালে আবারো ট্রলি গাড়িতে ইট উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্থানীয়রা ইটসহ গাড়ি আটকে দেন। পরে সুযোগ বুঝে সেখান থেকে সটকে পড়েন আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রাশেদুর রহমান রাশেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কমলেস চন্দ্র  বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের পুরাতন বাউন্ডারি ওয়ালের ইট স্কুলের মাঠে রাখা ছিল। সেখান থেকে তারা নিয়ে গেছে। আমি পরে তাদের কাছে টাকা নিয়ে সরকারি তহবিলে জমা করতাম। এ বিষয়ে তেমন কিছু হয়নি। ইউএনও সাহেব বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ইট এনে সাজিয়ে রাখতে।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী হক  বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পর সেখানে যাই। প্রধান শিক্ষককে ইট স্কুলে এনে রাখতে বলি। যদি ইট বিক্রি করতে হয় তাহলে নিলামে বিক্রি করতে হবে। এভাবে কারো কাছে ইট দিতে পারে না তারা। আর উনি আওয়ামী লীগ নেতা কিনা এটা আমার জানা নেই।

মন্তব্য করুন


Link copied