আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫ ● ৪ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫

এবার ‘ক্রিম আপার’ বিরুদ্ধে মামলা

বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, দুপুর ০২:০৩

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  গত বুধবার (৯ এপ্রিল) আশুলিয়া থানা মামলাটি করেন করেছেন সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান।

 
মামলা সূত্রে জানা যায়, শারমিন শিলা একজন বিউটিশিয়ান। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিম আপা নামে পরিচিত। তিনি মূলত মেকআপের জন্য কাজ করেন এবং বিভিন্ন রকম ক্রিম তৈরি করে বিক্রি করেন। তার পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি ছেলে ও মেয়েকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভিডিও তৈরি করে পোস্ট দেন। গত ৩ মার্চ বিকেল ৪টায় তার ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
 
যেখানে দেখা যায়, শারমিন শিলা তার মেয়ে জিমকে জোরপূর্বক এক হাত দিয়ে চাপ দিয়ে মুখে হা করিয়ে অন্য হাতে জোরপূর্বক মুখের ভেতর কেক জাতীয় খাবার দিচ্ছে। মেয়ে খেতে চাচ্ছিল না, এই জন্য সে জোর করে মেয়ের মুখের ভেতর চাপ দিয়ে কেক জাতীয় খাবার দিতে থাকেন।
 
শিশুদেরকে আঘাত, উৎপীড়ন, অবহেলা, ও মাতৃ সুলভ আচরণ বর্জন করে শিশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন ক্রিম আপা। যার কারণে শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। ফলে সম্প্রতি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় ওই আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
 
সাভারের বাইপাইল এলাকায় ‘ক্রিম আপা বিউটি পার্লার’ নামে শারমীন শিলার একটি বিউটি পার্লার আছে। তার ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি কীভাবে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে, তা জানান। এর বাইরে কী রান্না করছেন, কী খাচ্ছেন- এসব নিয়ে করা বিভিন্ন ভিডিওতে মেয়েকে হাজির করেন। মেয়ে ভয়ে চুপ করে থাকে। কখনো হাসে আবার কখনো অস্বাভাবিকভাবে কাঁদে। মেয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কের মধ্যে থাকে তা বিভিন্ন ভিডিওতে স্পষ্ট বোঝা যায়।
 
নানা বিতর্ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় সময় আলোচনায় থাকেন ‘ক্রিম আপা’। গত ৬ এপ্রিল শিশুদের নিয়ে কাজ করা ‘একাই একশো’ নামের একটি সংগঠন ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শারমিন শিলার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তিন দিনের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। স্মারকলিপির অনুলিপি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবরও দেয়া হয়।
 
অভিযোগ দেয়ার পর ফেসবুক লাইভে এসে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান কনটেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা। তিনি জানান, এ ধরনের ভিডিও আর তৈরি করবেন না।

মন্তব্য করুন


Link copied