আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

গাছে ঝুলে ছিলো দুই সন্তানের জননী গৃহবধুর মরদেহ

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, রাত ০৯:৩৬

Advertisement Advertisement

স্টাফরির্পোটার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর পল্লীতে দুই সন্তানে জননী এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার(২১ ডিসেম্বর) সকালে ডিমলা-ডোমার সড়কের পাট্টারমোড় সংলগ্ন বন বিভাগের সরকারি ফরেস্ট বাগানের ভিতরে আকাশমনি গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে কেউ বলছে এটি আত্মহত্যা, কেউ বলতে হত্যা। খবর পেয়ে ডোমার ও ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘটনার রহস্য উন্মোচনের জন্য মাঠে নেমে পড়েছে পুলিশ। 
নিহত গৃহবধু দিশা মনি ওরফে ভরসা মনি(২৫) ডিমলা উপজেলার সদরের ঠুটারডাঙ্গা এলাকার সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী ও ডোমার উপজেলার পাঙ্গামটুকপুর ইউনিয়নের মেলাপাঙ্গা গ্রামের দুলু মিয়ার মেয়ে। 
পুলিশ জানায়, প্রায় আড়াই মাস আগে দিশা মনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার(২০ ডিসেম্বর) পরিবারের সাথে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সবাই। কোন এক সময় সকলের অগোচরে রাতেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই দিশা মনি। সকালে ফরেস্ট বাগানের আশপাশের লোকজন আকাশমনি গাছের ডালের সঙ্গে লাইনের দড়ি গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে ডোমার থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়ে দেন। 
নিহতের বাবা দুলু মিয়া জানান, ৬ বছর আগে সাদ্দামের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সে দুই সন্তানের মা হন। গত এক বছর থেকে সে মানসিক ভারসাম্য অবস্থায় রয়েছে। আড়াই মাস আগে সে আমার বাড়িতে চলে আসে। শুক্রবার রাতে মেয়ে জামাই মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার বাড়ীতে আসে। রাতে পরিবারের সবাই খাবার খাই। এরেই এক পর্যায়ে সকলের অগোচরে রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় আমার মেয়ে দিশা। অনেক খুঁজাখুঁজি করার পরেও তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে লোকজনের মুখে শুনতে পাই একটি মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছে ঝুলে রয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে দিশা গরু বাধার রশি দিয়ে ফরেস্টের ইপিল গাছে ডালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ডোমার থানার ওসি আরিফুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied