আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

গাজায় শিশু খাদ্যের চরম সংকট

শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫, দুপুর ০১:৪০

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি মায়েরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা তাদের নবজাতকদের দুধ খাওয়াতে পারছেন না। মরিয়া হয়ে এদিক সেদিক ঘুরেও কোন শিশু খাদ্য না পেয়ে বোতলে পানি ভরে তা দিচ্ছেন নবজাতকদের মুখে। ইসরায়েলের অবরোধের ফলে শিশু ফর্মুলার তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে এ উপত্যকায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার আল জাজিরাকে এসব বলেন ড: কাহলিল দাকরান। তিনি জানান, ফর্মুলার সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক মা প্রায়শই তাদের শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য অপুষ্টিতে ভোগেন।

দাকরান বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য দুধ না থাকায় হাজার হাজার শিশু অনাহারে রয়েছে। এই শিশুদের মায়েদেরও অপুষ্টি রয়েছে। খাবার নেই, তাই মায়েরাও দুধ উৎপাদন করতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের বাচ্চাদের হয় পানি খাওয়ানো হচ্ছে, অথবা শক্ত ডালপালা গুঁড়ো করে তা খেতে দেওয়া হচ্ছে। যা শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক।’

৩১ বছর বয়সী আজহার ইমাদ বলেন, তিনি চার মাস বয়সী জুরিকে খাওয়ানোর আশায় পানির সঙ্গে তাহিনি মিশিয়েছেন। কিন্তু তিনি বলেছেন যে তিনি আশঙ্কা করছেন যে এই মিশ্রণটি তার শিশুকে অসুস্থ করে তুলবে।

তিনি বলেন, ‘আমি দুধের পরিবর্তে এই পেস্টটি ব্যবহার করছি, কিন্তু সে এটি পান করে না। এই সব অসুস্থতার কারণ হতে পারে। মাঝে মাঝে, আমি তাকে বোতলে করে পানি দিই; কিছুই পাওয়া যায় না। আমি তার জন্য ক্যারাওয়ে এবং ভেষজ তৈরি করি, যেকোনো ধরণের ভেষজ।’

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ চলছে। সেখানে খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য মানবিক সরবরাহের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় হাসপাতালগুলি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, গত ২৪ ঘন্টায় ইসরায়েলের জোরপূর্বক অনাহারে কমপক্ষে আরও দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যার ফলে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর মোট সংখ্যা ১৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৯০ জন শিশু রয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied