আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫ ● ৪ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫

জ্বালানিতে আশ্বাস, বাণিজ্যে জোর

বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, দুপুর ১০:১৯

Advertisement Advertisement

ডেস্ক: বৈশ্বিক সঙ্কটের মধ্যে আকাঙ্ক্ষিত জ্বালানি তেলে পাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাছ থেকে এক ধরনের আশ্বাস পেয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাণিজ্য সুসংহত করার বিষয়েও তাদের মতৈক্য হয়।

এদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনে প্রতিবেশী দুদেশ সমঝোতা স্মারক সই করলেও বরাবরের মতোই ঝুলে থাকল তিস্তা নদীর বিষয়ে একই রকমের চুক্তি। তবে শেখ হাসিনা বলেছেন, তিস্তা চুক্তির জটও অচিরেই খুলবে বলে তিনি আশা রাখছেন।

তিন বছর পর শেখ হাসিনার ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে দুই শীর্ষ নেতা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি একান্তেও আলাপ করেন।

বৈঠক শেষে উভয় দেশের মধ্যে কুশিয়ারা নদীর ১৫৩ কিউসেক করে পানি প্রত্যাহারসহ সাতটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

দিল্লিতে কর্মব্যস্ত এই দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীন ধনখড়ের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শেখ হাসিনা।

তার দিনের কর্মসূচি শুরু হয় রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে ফুল দিয়ে। এদিন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে নিহত ও আহত ভারতীয় যোদ্ধাদের উত্তরসূরিদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টুডেন্ট স্কলারশিপ’ তুলে দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

দুপুরের শীর্ষ বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ তার সফরসঙ্গীরা।

এরপর সাংবাদিকদের সামনে এসে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কোভিড পরবর্তী এবং বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ‘আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার’ অংশ হিসেবে এই সফরের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “দুটো বিষয়ে অগ্রগতি করেছি আলোচনায়। জ্বালানি সহায়তা বিশেষ করে ভারত থেকে ডিজেল সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে ক্রয়ের জন্য আমাদের রিলেটেড মিনিস্ট্রি বা ডিপার্টমেন্টগুলো আলোচনা করবে এবং এটার রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে এই পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে।”

মন্তব্য করুন


Link copied